মধু শুধু স্বাদেই মিষ্টি নয় এর রোগ নিরাময় ক্ষমতা প্রাচীনকাল থেকেই প্রশংসিত। কিন্তু বাজারে এত প্রকারের মধু আছে যে কোনটা যে খাঁটি, তা বোঝা সত্যিই মুশকিল।
Images Credit: iStock
খাঁটি মধু শরীরের পক্ষে ঠিক যতটা ভালো মধুতে যদি ভেজাল মেশানো থাকে তবে সে মধু ঠিক ততটাই আমাদের শরীরের পক্ষে বিপদের কারণ হতে পারে ।
তাই চলুন দেখে নেই কোন কোন ঘরোয়া পদ্ধতিতে, হাতের কাছে থাকা জিনিসপত্র দিয়েই আমরা সহজে ধরে ফেলতে পারব মধুটি আসল না এতে ভেজাল মেশানো আছে ।
একটি স্বচ্ছ গ্লাসে স্বাভাবিক তাপমাত্রার জল নিন। এবার এক চামচ মধু গ্লাসে ছেড়ে দিন। আসল মধু প্রায় অমিশ্রিত ভাবে গ্লাসের তলায় গিয়ে জমা হবে।
জলের সাথে মিশিয়ে দেখুন
একটি শুকনো কাঠি বা দেশলাই কাঠির মাথা মধুতে ভালো করে ডুবিয়ে নিন। এবার কাঠিতে আগুন ধরানোর চেষ্টা করুন। কাঠিতে লেগে থাকা মধু যদি খাঁটি হয় তাহলে জ্বলে উঠবে।
আগুনে জ্বালিয়ে দেখুন
সাদা কাগজ বা টিস্যুতে এক ফোঁটা মধু ফেলুন। আসল মধু তেমনভাবে ছড়িয়ে পড়বে না। এটি মোটামুটি ফোঁটার আকারেই থেকে যাবে কারণ মধুতে জলের পরিমাণ কম এবং ঘনত্ব বেশি।
কাগজে ফেলে পরীক্ষা
সময়ের সাথে সাথে আসল মধুতে ক্রিস্টালাইজেশন হয় – চিনির দলা পাকানোর মত ঘটনা। এটি আসল মধুর বৈশিষ্ট্য, নকল মধু তরল অবস্থাতেই থেকে যায় কিংবা শক্ত হয়ে যেতে পারে।
মেয়াদ দেখেই বুঝুন
মধুর মধ্যে রয়েছে প্রকৃতির নির্যাস, যা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে দারুণ উপকারী। একটু সচেতনতা ও এই সহজ পরীক্ষাগুলি আপনাকে আসল মধুর সন্ধান দিতে পারে।
সবশেষে মনে রাখবেন, মধু কেনার সময় শুধু দাম বা ব্র্যান্ডের দিকে তাকাবেন না । নিজের চোখকে বিশ্বাস করুন যাচাই বাছাই করে খাঁটি মধুর সন্ধান করুন।
আসল মধুর মেয়াদ অবিশ্বাস্য রকমের দীর্ঘ! প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রাচীন মিশরের ফারাওদের সমাধিতেও হাজার বছরের পুরনো মধু খুঁজে পেয়েছেন, যা কিনা এখনও খাওয়ার যোগ্য ।