আর কদিনের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে লোকসভার প্রথম দফার ভোট। এই আবহেই তমলুকে গিয়ে বিষ্ফোরক মন্তব্ব্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর। ২০০৯ থেকে টানা এই স্থানে জিতে এসেছে অধিকারী পরিবার। ২০১৯ এ ও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। কিন্তু ২০২১ এ পালটে গেছে রাজনৈতিক সমীকরণ। বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি তে দলবদল করে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে লড়ে হেরেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। যদিও ৭ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পায় চারটি আসন আর বিজেপি পায় তিনটি কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর পরাজয় বিজেপির জন্যে ছিল বৃহৎ এক রাজনৈতিক লাভ।
এই তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে দুবার জিতে পার্লামেন্টে গেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০১৯ এ তমলুক লোকসভা থেকে ভোটে জেতেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। কিন্তু এবার আর অধিকারী পরিবার নয়। বিজেপি প্রার্থী হয়ে তমলুকে দাড়িয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার ভোট প্রচারে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী ও তার ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূল এর হয়ে দাঁড়িয়েছেন যুবনেতা দেবাংশু ভট্যাচার্য্য । বামেদের প্রার্থী হয়ে দাড়িয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবি সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। আই-এস-এফ এর হয়ে দাড়িয়েছেন এক প্রতিবাদী চাকরিপ্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ।
এহেন রাজনৈতিক সরগরম পরিস্থিতি তে, তমলুকে দেবাংশুর জন্যে প্রচারে গিয়ে বিষ্ফোরক মন্তব্য করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জনসভা থেকে চেঁচিয়ে বলেন, ” ‘বিজেপির নেতারা টাকা বিলি করবে। আমি বলব নিয়ে নিন। ওই টাকা আপনাদের টাকা। ৫০০ দিলে বলবেন ১ হাজার চাই। আর বলবেন বিজেপিকে ভোট দেব। আপনার সঙ্গে ৫ বছর দুনম্বরি করেছে, আপনি একদিন করবেন। ৫ বছর আপনার সঙ্গে বেইমানি করেছে, আপনি একদিন করবেন। ঠেলায় না বলে বিড়াল গাছে ওঠে না। আমি অভিষেক বলে গেলাম টাকা নিয়ে নেবেন। বাড়িয়ে বলবেন বিজেপিকে ভোট দেব। বড় ফুল থেকে টাকা নেবেন, আর জোড়া ফুলকে ভোট দেবেন।”
অভিষেক ব্যানার্জির এই বক্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ার রীতিমতো সর গরম। অনেকেই কটাক্ষ করছেন যে এতো অভিষেক ব্যানার্জি রাতারাতি কিভাবে বড়লোক হওয়া যায় সেই পরামর্শ দিয়েছেন।