গত বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই যে মুসলিম ভোট ব্যাংক এতদিন একচেঠিয়া ভাবে তৃণমূলের দখলে ছিল তাতে ভাঙ্গন ধরায় আইএসএফ ।

Image credit: iStock

আইএসএফ এর এই উত্থানের সাথে সাথেই পালটাতে থাকে পশ্চিমবঙ্গের ভোটের সমীকরণ । পালটাতে থাকে মুসলিম ভোটের গতি ।

Image credit: ANI

আইএসএফকে এত দিন ব্যাকাপ দিয়ে যাচ্ছিল রাজ্যের মুখ্য বাম দল সিপিআই এম । সিপিআই এম এর হাত ধরেই মূলত আইএসএফ এর দ্রুতগতিতে উত্থান।

Image credit: ANI

গত বিধানসভা ভোটের মতোই এবার ও সিপিআই এম ও আই সে এফ জোট বাধবে এমন সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিলো ।

Image credit: ANI

কিন্তু এবারের লোকসভা ভোটে আসন ভাগাভাগি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে জোট না হওয়ায় আইএসএফ একাই লড়বে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।

Image credit: ANI

ফলে পশ্চিমবাংলার ভোট এখন বহু ভাবে বিভক্ত - তৃণমূল , বিজেপি , সিপিআই এম , কংগ্রেস ও আইএসএফ ।

Image credit: ANI

এদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে তাই যদি এই নির্বাচনে আইএসএফ পৃথক ভাবে লড়াই করে তবে তাতে এক  জটিল সমীকরণ তৈরি হবে ।

Image credit: iStock

আই এস এফের ভোটের সব থেকে বড় অংশ এসেছে তৃণমূল থেকে , কাজেই আইএসএফের উত্থানেই সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তৃণমূল  ।

Image credit: iStock 

দ্বিতীয় ক্ষতি হয়ছে বামেদের , আই এস এফের সাথে জোট হলে মুসলমান ভোটের যে অংশ তারা হারিয়েছিল তা দ্রুত রিকভার করা সম্ভব হত

Image credit: iStock

তৃতীয় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আইএসএফ নিজে । আইএসএফ এর নিজস্ব কিছু ভোট থাকলেও কোনো একটি লোকসভা আসনে একক ভাবে লড়াই করে জিতে আসার মত ক্ষমতা নেই  ।

Image credit: ANI

এই জোট না হওয়ায় সব থেকে বেশি লাভবান হল বিজেপি । এবং ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্য মুসলমান ভোট ফ্যাকটর হয়ে দাঁড়াবে কমপক্ষে ১৮ টি তে ।

Image credit: iStock

মুসলমান ভোট ভাগাভাগি হলে বিজেপির লড়াই অনেকটা সহজ হয়ে যায় , তৃতীয় শক্তি যদি ভোটের একটা অংশ কেটে নেয় তাহলে বিজেপির পক্ষে পঁচিশটা আসন পার করে ফেলা কোনো কঠিন কাজ নয়।

Image credit: ANI