সম্প্রতি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) নেতা এবং কেরালার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী টমাস আইজ্যাককে একটি মশলা বন্ড সংক্রান্ত আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে সমন পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) । ইডি-র এই সমনকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয় ।
ডঃ ট্রাভানকোর ম্যাথিউ থমাস আইজ্যাক একজন খ্যাতিমান ভারতীয় অর্থনীতিবিদ এবং রাজনীতিবিদ। তিনি কেরালার প্রাক্তন অর্থ ও পাট মন্ত্রী ছিলেন। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)-র একজন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য । তিনি কেরল বামফ্রন্ট সরকারের দুই মেয়াদে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং কেরালার অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তাঁর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে ।
আইজ্যাক আসন্ন লোকসভা ২০২৪ নির্বাচনে কেরালার পাথানামথিট্টা কেন্দ্র থেকে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই সমনের পরপরই তিনি কেরলা হাইকোর্ট-এ ইডির সমনকে চ্যালেঞ্জ করে অন্তর্বর্তী কালীন সুরক্ষার আবেদন করেন । কেরালা হাইকোর্ট এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) স্পষ্ট ভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের টমাস আইজ্যাককে নির্বাচনের সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব না করতে। এবং বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন যে এই নির্বাচনী সময়ের মধ্যে একজন প্রার্থীকে এভাবে তলব করা উচিৎ হয়নি ।
বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য 22 মে ধার্য করা হয়েছে ।
কেরালা হাইকোর্টের এই মন্তব্য আইজ্যাকের জন্য বিরাট স্বস্তি এনেছে ।
কেরলা হাইকোর্টের এই মন্তব্য এবং পর্যবেক্ষণ এই সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে ভীষনই তাৎপর্যপূর্ণ । বিশেষত সারা দেশ জুড়ে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে অনৈতিক ভাবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে যখন সমস্ত রাজনৈতিক দল গুলি সরব সেই মুহূর্তে কেরল হাইকোর্টের এমন মন্তব্যে বিরোধীরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে । বিরোধী দলগুলি তদন্তকারী সংস্থাকে “বিজেপির হাত” বলে উল্লেখ করেছে। আম আদমি পার্টির নেতা এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সাম্প্রতিক গ্রেপ্তারের পরে এই সমালোচনা আরও জোরে বেড়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে টমাস আইজ্যাক জানিয়েছেন,তাঁর নির্বাচনী কার্যক্রমকে বাধা দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে ।