সম্প্রতি এক বেসরকারি সংবাদ-মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তৃণমূল নেত্রী কে সাংবাদিক প্রশ্ন করেন অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায় তার পার্টির উত্তরসুরী কি না? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে লোকসভা নির্বাচন সবকটিতেই তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। দলের কনিষ্ঠ ছাত্র সদস্যবৃন্দ তাকে যুবনেতা বলে মান্য করেন। তাই এই প্রশ্ন সব মানুষের মনের মধ্যেই সুপ্ত ছিল ।
এই সাক্ষাৎকারেই সেই প্রশ্নের উত্তর দেন তৃনমূল নেত্রী । তিনি জানান , উত্তরসুরীর প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেবে একান্তভাবেই তার দল। যদিও ভাইপো অভিষেকের প্রশংসা এ পঞ্চমুখ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন ছেলেবেলা থেকেই নাকি অভিষেক দায়িত্বের সাথে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি করেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে বললেই মুখ্যমন্ত্রী হয়ে পড়েন নস্টালজিক। স্মৃতির পাতার ভাজে লুকিয়ে থাকা জলধারা গুলো বেরিয়ে পড়ে কথার সাথে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,“ছোটবেলা থেকে ওকে তৈরি করেছি। ওর যখন আড়াই বছর বয়স, তখন হাজরায় আমাকে মেরেছিল সিপিএম। তখন থেকেই ও হাতে একটা ফ্ল্যাগ নিতে বলত, দিদিকে মারলে কেন, সিপিএম তুমি জবাব দাও। তখন থেকে ওর পলিটিক্যাল মাইন্ডটা তৈরি হয়ে গিয়েছে। ও কলেজ পাশের পর থেকে ডাইরেক্টলি পলিটিক্সটা করে।” এই কথা সম্পূর্ণ নতুন নয়। কাকদ্বীপে অভিষেকের আয়োজিত নবজোয়ার অনুষ্ঠানে আবেগতাড়িত তৃণমূল নেত্রী অভিষেকের উদ্দেশ্যে বলেন যে অভিষেক ২ বছর বয়স থেকে রাজনীতি করেন।
এই সাক্ষাৎকারটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দলে নবীন প্রজন্মের কথাও তুলে ধরেন। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে তিনটি প্রজন্ম তৈরি করে দিতে পেরেছেন বলে আশাবাদী। এ প্রসঙ্গে সায়নী ঘোষ এবং দেবাংশু ভট্টাচার্যের কথাও তুললেন তিনি। তার কথায়,
” ‘আমি চাই ওরা ভালভাবে তৈরি হোক। নতুন প্রজন্মকেও দরকার। আমি তিনটে প্রজন্ম তৈরি করে দিয়েছি। আমি যদি প্রজন্ম তৈরি না করি, তাহলে আমার স্বপ্নের তৃণমূল কংগ্রেসকে কে রক্ষা করবে?’
মমতা বন্দোপাধ্যায়
দলের নবীন -প্রবীন দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ উঠতে মমতা জানান এরূপ কোনো দ্বন্দ্ব তার দলের মধ্যে একেবারেই নেই। বরং এটি আসলে বিজেরপির তৈরি করা ধারণা যা তারা নিজের স্বার্থে মানুষের অন্তরে রোপণ করার চেষ্টা চালায়।