লোকসভা ভোটের প্রচারকালে কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় মিঠুন চক্রবর্তীকে “গদ্দার” বলেন ।আরও বলেন তিনি নাকি ছেলেকে বাচাতেই বিশ্বাসঘাতকতা করেই বিজেপি তে যোগ দিয়েছেন। লোকসভা ভোটের প্রথম দফার দিনে আবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ তীব্র কটাক্ষ করেন মিঠুনকে। মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপির প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূলের দুর্নীতিগুলি নিয়ে সরাসরি কথা বলেছেন। সমস্ত দূর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতাকে কড়া ভাষায় ভৎসনা করেন মহাগুরু। তাই বোধহয় তৃণমূলের এত রোষ মিঠুনের ওপর। প্রথমে মমতার পর এবার কুণাল ঘোষ।
কুণাল ঘোষ তার টুইটার হ্যান্ডেলর পাঁচটি কথা তুলে ধরেন মিঠুন সম্পর্কে। যেই কথাগুলি সামনে আনে মিঠুন চক্রবর্তীর দূর্নীতি এবং তার দলবদল করে বিজেপিতে যোগদানের আন্তঃসম্পর্ক। ঠিক কি বললেন কুণাল?
প্রথম পয়েন্টে তিনি বলেন অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ড কেলেঙ্কারির কথা। দ্বিতীয় পয়েন্টে তুলে ধরেন সারদা কেলেঙ্কারির কথা। তিনি টাকা চুরি করে নাকি প্রথমে ফেরত দিতেও চাননি কিন্তু ইডি সিবিয়াই এর চাপে বাধ্য হন ফেরত দিতে।
তৃতীয় পয়েন্টে তিনি বলেন মিঠুন নাকি দক্ষিণ ভারতে পরিবেশ ধ্বংস করে বড় নির্মান করেছেন। চার নম্বর পয়েন্টে কুণাল বলেন মহাগুরু নাকি বিনা অনুমোদনে স্কুল খুলে ছাত্রদের অথৈ জলে ফেলেছিলেন। এবং পাঁচ নম্বর পয়েন্টে তিনি মিঠুনের স্ত্রী ও পুত্রের নামে নারী নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। কুণালের অভিযোগ এত কিছু করার পর মিঠুন নিজেকে আইনের কবল থেকে বাচাতে বিজেপি ওয়াশিং মেশিনে প্রবেশ করেছেন।
এখানেই থামেনি কুণাল। মহাগুরু কে বলেন” সুবিধাবাদী, পাল্টিবাজ, দলবদলু। তিনি মনে করেন বাংলার মানুষ অভিনেতা হিসাবে তাঁকে মেনে নিলেও রাজনৈতিক নেতা হিসাবে মেনে নেবে না।