সোমবার আদালতে দাঁড়িয়ে বিষ্ফোরক মন্তব্য করে ইডি। শেখ শাহাজাহান এর কুকর্মের সাথে নাকি সরাসরি যুক্ত আছেন ২-৩ জন মন্ত্রী। তাই শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীদের জামিন দিলে সতর্ক হয়ে যেতে পারেন ওই মন্ত্রীরা। এই কথা বলে শাহাজাহানের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি।
সোমবার আদালতে তোলা হয় আলমগীর, দিদার বক্স, শিবু হাজরা-সহ সন্দেশখালি কাণ্ডে অভিযুক্তদের। আদালত চলাকালীন প্রশ্নোত্তরের ইডির মুখে শোনা যায় বিষ্ফোরক মন্তব্য। সন্দেশখালি কাণ্ডে জমি দখলের টাকার ভাগ পেয়েছেন রাজ্যের ২-৩ জন মন্ত্রী। ওই টাকাই ঘুরপথে অস্ত্র কারবারে লাগানো হত বলেই তদন্তের পর মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা।
শেখ শাহাজাহান ছিলেন জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ। সে কারণে বহু মন্ত্রী স্থানীয় ব্যগতিবর্গের সাথে তার সম্পর্ক ছিল অতি ঘনিষ্ঠ। আর সেই ক্ষমতা কে কাজে লাগিয়ে অনুগামীদের সরকারি টেন্ডার পাইয়ে দিতেন বলেই দাবি ইডির। ইডির মতে পঞ্চায়েত থেকে ফেরি সমস্ত সরকারি টেন্ডার ঘুরপথে শাহজাহানের অনুগামীরাই পেতেন। তা থেকেই আসত টাকা। আর সেই সূত্র ধরেই এত পরিমাণ অস্ত্র। এইসব খবর ইডি জানতে পেরেছে স্থানীয় মানুষদের সাথে কথা বলে এবং সাক্ষীদের কে জেরা করে।
শাহাজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিন ছিল নাকি তার দাদার সমস্ত বে-আইনি কারবারের শাগরেদ। শাহাজাহানের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় নিজের যথেষ্ট আধিপত্য তৈরি করেছিল সিরাজউদ্দিন। কিন্তু সন্দেশখালি কান্ডের পর থেকেই নিখোজ তিনি। সোমবার শুনানির পরে শেখ শাহজাহান, আলমগীর, দিদার বক্স, শিবু হাজরাকে ১৩ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।