নয়াদিল্লি: রাজনৈতিক দলগুলোর কোটি কোটি টাকার গোপন লেনদেনের রহস্য আজ একটু একটু করে সামনে আসতে শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশনের হাতে এসেছে সেই তথ্যভাণ্ডার, যেখানে লুকিয়ে থাকতে পারে নির্বাচনী বন্ডের নামে চলা বেনামি লেনদেনের হদিশ। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অবশেষে বাধ্য হয়ে সেই তথ্য দিতে শুরু করেছে ।
ভারতীয় নির্বাচন কমিশন আজ নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে। নির্বাচন কমিশন X (পূর্বতন টুইটার) প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই তথ্য পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন করেই এসবিআই এই তথ্য দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট গতকালই ব্যাঙ্কের দেওয়া আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ব্যাঙ্ক আদালতের কাছে আরও সময়ের জন্য আর্জি জানিয়েছিল, যাতে তারা আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই তথ্যগুলো যোগাড় করতে পারে। কিন্তু আদালত সেই আবেদন মানেনি এবং আজ, ১২ই মার্চের মধ্যেই নির্দেশ অমান্য করলে অবমাননার মামলার হুমকি দিয়েছিল।
নির্বাচন কমিশন কবে এই তথ্য জনসমক্ষে নিয়ে আসবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। ‘দ্য ল টুডে’ সংবাদ সাইট সূত্রে জানিয়েছে, এই তথ্যগুলো এখনও অগোছালো অবস্থায় আছে, তাই শুক্রবারের মধ্যে ওয়েবসাইটে তা তোলা কঠিন হতে পারে।
নির্বাচন কমিশন এই বিপুল তথ্যভাণ্ডার নিয়ে কী করবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে। তথ্যগুলো কবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সামনে আসবে তা নিয়েও স্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত নেই। তবে, ভোটের আসরে স্বচ্ছতার দাবিতে লড়াই করা সংগঠনগুলোর আশা, এই তথ্য প্রকাশ্যে এলে, কার কাছে কত টাকা এসেছে, তার একটা হদিশ মিলবে।
সরকার সম্প্রতি সংসদে জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের শুরু পর্যন্ত ভারতে মোট ১৬,৫১৮ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়েছে। এর সবচেয়ে বড় অংশ গেছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির ভাঁড়ারে। ২০১৭-১৮ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত বিক্রি হওয়া ১২,০০৮ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ডের মধ্যে, ৬,৫৬৪ কোটি টাকার বন্ড পেয়েছে বিজেপি।