২০১৮ সালে, প্রথমবারের মতো অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (FIU) মানি লন্ডারিং-এর অভিযোগে ৯,৪৯১টি “হাই-রিস্ক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের” তালিকা প্রকাশ করেছিল। এই তালিকায় থাকা কমপক্ষে তিনটি কোম্পানি— কামনা ক্রেডিটস অ্যান্ড প্রোমোটার্স প্রাইভেট লিমিটেড, ইনোসেন্ট মার্চেন্ডাইজ প্রাইভেট লিমিটেড এবং রেনুকা ইনভেস্টমেন্ট ফিনান্স লিমিটেড— রাজনৈতিক দলগুলিকে অর্থ দেবার জন্য ইলেক্টোরাল বন্ড কিনেছে।
কলকাতার কোম্পানি কামনা ক্রেডিটস অ্যান্ড প্রোমোটার্স প্রাইভেট লিমিটেড ২০২২ সালের ৪ঠা জানুয়ারি ৫ কোটি টাকা দিয়ে ইলেক্টোরাল বন্ড কিনেছে। কলকাতারই আর এক কম্পানি ইনোসেন্ট মার্চেন্ডাইজ প্রাইভেট লিমিটেডও ২০১৯ সালের ১২ই এপ্রিল ২৫ কোটি টাকার বন্ড কিনেছে। উত্তর প্রদেশের সোনভদ্রায় রেজিস্টার্ড রেনুকা ইনভেস্টমেন্ট ফিনান্স লিমিটেডও সেই একই দিনে ৫ কোটি টাকার বন্ড কিনেছে।এর মধ্যে একটি কোম্পানি নির্বাচনের ঠিক আগেও বন্ড কিনেছিলো ।
এই কোম্পানিগুলি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের (PMLA) নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য ‘হাই-রিস্ক’ তালিকাভুক্ত হয়েছিল। এই ঘটনাটি ইলেক্টোরাল বন্ডের আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতায় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ” ইডি, সিবিআই ও ইনকাম ট্যাক্সের সাহায্যে বিশ্বের বৃহত্তম তোলাবাজি চক্র চালাতে ইলেক্টোরাল বন্ড ব্যবহার করছে বিজেপি।” – বলে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন ।
Electoral Bonds scheme is the world's biggest racket of National level.
— विनीता जैन (@Vinita_Jain7) March 15, 2024
~ Shri @RahulGandhi Ji in Press Conference#ElectoralBondScam#ElectoralBondspic.twitter.com/0uIfQ5mnmb
এই তিনটি ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ভাবে বিচার করা উচিৎ নয় , বরং এগুলি ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে এক বিরাট আর্থিক কেলেঙ্কারির সম্ভাবনার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে । রাজনৈতিক দলগুলির অর্থায়নের এই পদ্ধতি কতটা স্বচ্ছ, এবং এর মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অবৈধ অর্থের প্রবাহ কীভাবে রোধ করা সম্ভব তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বিতর্ক চলছে। একটা সময় ছিল যখন রাজনৈতিক দল গুলির মূল অর্থভান্ডার ছিল জনগণের দান , সে সব এখন অতীত ।