বলিউডের এই মুহূর্তে সবথেকে হট টপিক হল আমির খানের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ নিয়ে চলা গুঞ্জন। বহু বছর ধরে এই বিচ্ছেদের পেছনে পরিচালক কিরণ রাওয়ের হাত আছে এমন গুঞ্জন রটে গেছে। সম্প্রতি, একজন পরিচালক ২২ বছর পর সেই গুঞ্জনের পর্দা সরিয়ে সত্যিটাকে সামনে নিয়ে এসেছেন।
আমিরের প্রথম স্ত্রী রীনা দত্তার সাথে বিচ্ছেদের আগে থেকেই কিরণের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে বহুজনের ধারণা। সেই সময় থেকে কিরণকেই অনেকে আমির-রীনার সম্পর্ক ভাঙার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন। ‘ধোবি ঘাট’ দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা কিরণ রাও প্রায় ১৪ বছর পর ‘লাপাতা লেডিস’ ছবির মাধ্যমে পরিচালনায় ফিরেছেন।
আমির এবং রীনা দত্তার বিচ্ছেদ হয় ২০০২ সালে, ‘লাগান’ ছবিটি মুক্তির এক বছর পর। কিরণ ‘লাগান’-এ সহকারী পরিচালকের কাজ করেছিলেন। প্রচলিত ধারণা হলো, ‘লাগান’ ছবির সময় থেকেই আমিরের সঙ্গে কিরণের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়, যার জেরেই রীনার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যায়। কিন্তু, কিরণ একাধিক সাক্ষাৎকারে পরিষ্কার করেছেন যে, ‘স্বদেশ’ ছবিতে আশুতোষ গোয়ারিকরের সঙ্গে কাজ করার সময়ই তার এবং আমিরের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। এর আগে ‘মঙ্গল পান্ডে: দ্য রাইজিং’ নিয়ে তখন আমির ব্যস্ত ছিলেন। এই সময়ের মাঝে কিছু বিজ্ঞাপনে তারা একসাথে কাজ করেছেন, কিন্তু তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ২০০৪ সালের দিকে। ফলে, আমিরের বিচ্ছেদের কারণ কিরণ – এই দীর্ঘদিনের গল্প ভিত্তিহীন বলেই প্রমাণিত ।
কিরণ আরও জানিয়েছেন যে ‘লাগান’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময় তিনি এবং আমির খুব একটা কথাও বলতেন না, কারণ সেসময় কিরণ অন্য একটি সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। বহু বছর পর, ২০০৪ সালে, কিরণের জীবনে আবার আমিরের আগমন ঘটে এবং তাদের প্রেম শুরু হয়। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, আমিরের বিচ্ছেদের কারণ তিনি – এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যে।
তাদের ভালোবাসার গল্প শুরু হলেও, তা মসৃণ ছিল না। আমিরের পূর্ববর্তী সম্পর্কের নানা টানাপোড়েন সামলাতে, এমনকি কাউন্সেলিংয়েরও সাহায্য দরকার হয়েছিল বলে কিরণ উল্লেখ করেন। ২০০৫ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০২১ সালে বিচ্ছেদের পরও সম্পর্ক বজায় রেখেছেন তারা। ছেলে আজাদকে তারা একসঙ্গে বড় করছেন।
সম্প্রতি, আমির খান নিজেই কিরণ রাওর নতুন ছবি ‘লাপাতা লেডিস’ প্রযোজনা করেছেন।