মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পরিপ্রেক্ষিতে আম আদমি পার্টি (AAP) এর দিল্লি ইউনিটের কনভেনর গোপাল রাই আজ বিজেপির বিরুদ্ধে সারা দেশে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। রাই বলেছেন, কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি হল “গণতন্ত্রের হত্যা” এবং “স্বৈরশাসনের ঘোষণা”। ED-র আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তাকে একটি মদ নীতি-সংক্রান্ত অর্থ পাচারের মামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে এবং তাকে সংস্থার সদর দপ্তরে নিয়ে যায় ।
দিল্লি হাইকোর্ট যখন কোনো প্রটেকশন মূলক পদক্ষেপ থেকে AAP কেজরিওয়ালকে রক্ষা করার অনুমতি দেয়নি, তখন এই গ্রেফতারি ঘটে। রাই বলেন, আমি দেশবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি যে এই স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সারা দেশের বিজেপি অফিসের বাইরে প্রতিবাদ করুন। আমরা শুক্রবার সকাল 10টায় AAP অফিসে জড়ো হব এবং তারপর বিজেপি সদর দপ্তরের বাইরে প্রতিবাদ করব। তিনি আরও বলেন, যদি কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা যায় তাহলে যে কেউ গ্রেফতার হতে পারে এবং তাদের কণ্ঠস্বর দমন করা যেতে পারে। আজ থেকে লড়াই শুরু হয়েছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল একজন ব্যক্তি নয়, একটি আদর্শ একটি প্রতিষ্ঠান ।
মধ্যরাতের এক সংবাদ সম্মেলনে, দিল্লির মন্ত্রী আতিশি, রাই এবং AAP-এর রাজ্যসভা সাংসদ সন্দীপ পাঠক কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পদ্ধতির নিন্দা করেছেন, দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজও উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে পাঠক বলেন, এটা আর বিজেপি এবং AAP-এর মধ্যে লড়াই নয়। এটা দেশের মানুষ এবং বিজেপির মধ্যে লড়াই। এটা আর AAP-এর লড়াই নয়, এটা সেই সব মানুষের লড়াই যারা দেশে স্বচ্ছ রাজনীতি চায়।
আতিশি বলেন, কেজরিওয়ালের লড়াই রাস্তা থেকে আদালত পর্যন্ত চলবে। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার মামলাটিত হিয়ারিং । এই গ্রেফতারি অসাংবিধানিক। ED হেমন্ত সোরেন (ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী), অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে এবং কংগ্রেসের অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করে দিয়েছে ।
এর আগে, দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান অরবিন্দর সিং লাভলি কেজরিওয়ালের বাসভবনের বাইরে AAP প্রতিবাদ যোগ দিতে দিল্লির মানুষজনকে আহ্বান জানান । তিনি বলেন , ED হেমন্ত সোরেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে, আমাদের অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করে দিয়েছে। দেশের গণতন্ত্র কোন দিকে যাচ্ছে? আমরা আমাদের INDIA জোটের সাথীদের সাথে এই লড়াইতে আছি এবং নির্বাচনে জোরালোভাবে লড়াই করব ।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, দেশজুড়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে এই গ্রেফতারিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে দেখছেন, অন্যদিকে কেউ কেউ আইনের শাসনের প্রয়োগ হিসেবে মনে করছেন। এই ঘটনা আগামী নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিতে পারে। সময় বলবে, এই ঘটনার প্রভাব কী হবে।