আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভোট প্রচারে উত্তরবঙ্গে এসে তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন । তিনি উল্লেখ করেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারীদের মদত দিয়ে এই রাজ্যে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন, শুধু তাই নয় পাশাপাশি হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানে বাধা দিচ্ছেন । অমিত শাহ আশ্বাস দেন যে বাংলায় যদি বিজেপি জেতে তবে তিনি এই অনুপ্রবেশ কারীদের থেকে বাংলাকে মুক্ত করবেন এর পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে দুর্নীতি নিয়েও তিনি তৃণমূল সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন । তিনি বলেন যে চাকরির জন্য ১০ লক্ষ ১৫ লক্ষ টাকা যারা ঘুষ দিয়েছিল তাদের সকলের চাকরি গেছে, তৃণমূল মন্ত্রীদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা । এই বাংলার মানুষ যাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছিল তারাই লুটে নিয়েছে সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা। বাংলার হিংসার কারণ তৃণমূল কংগ্রেস তারা মা মাটি মানুষের কথা বলে বাংলায় ক্ষমতায় এসেছিল কিন্তু সেই মা মাটি মানুষ অত্যাচারিত। সন্দেশখালি নিয়েও আক্রমণ করতে তিনি ছাড়েননি তিনি বলেছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ভোট ব্যাংকের জন্য সন্দেশখালির মা-বোনেদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে তা তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চাননি, যদিও তার জবাব সন্দেশখালীর মা-বোনেরা নিজেরাই দিয়েছে ।
তবে আজকের এই নির্বাচনে সভাতে থেকে শাহ সব থেকে বড় যে প্রতিশ্রুতি দিলেন তা হল যদি বিজেপি এই নির্বাচনে বাংলা থেকে ৩০ টি আসন পায় তবে তারা রাজ্য সরকারের সমস্ত বাধা অতিক্রম করে উত্তরবঙ্গের জন্য আরও একটি AIIMS বানাবে । বিজেপির সময় কালে উন্নয়নের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন ১০ বছর আগে যারা ঝুপড়িতে বাস করতেন সাইকেলে করে ঘুরতেন আজ তারা চারতলার বাড়িতে থাকেন চার চাকায় করে করেন এটাই মোদীজির কৃতিত্ব।
অমিত শাহের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলও । তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের নেতা সৌরভ সরকার বলেছেন , অমিত শাহজি যাদের কথা বলছেন যে ১০ বছর আগে ঝুঁকিতে বাস করতেন এখন মোদিজীর শাসনকালে তারা চারতলা বাড়িতে থাকেন আর চার চাকায় করে ঘোরেন এইরকম একজন মানুষ গোটা ভারতবর্ষে আছে কিনা? যদি দেখাতে পারেন তাহলে কৃতজ্ঞ থাকব। মোদির সময় যাদের উন্নয়ন হয়েছে তারা হলো আম্বানি এবং আদানি । তাদের সেই উন্নয়ন এবং তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির গ্রাফ ঝুপড়ি থেকে চারতলার বহুগুণ বেশি সেই কথাটা কিন্তু অমিত সহ একবারে বলবেন না ।