নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে আসামজুড়ে ফের উত্তাল পরিস্থিতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হলো, বিক্ষোভকারীদের আগুনে পুড়ল আইনটির কপি।
অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ (AJYCP) লক্ষীমপুর ও ডিব্রুগড়ে এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয়। সর্ব-আসাম ছাত্র সংগঠন (AASU) এবং অন্যান্য ৩০টি অরাজনৈতিক আদিবাসী সংগঠন সন্ধ্যায় রাজ্যজুড়ে মশাল মিছিল বের করে। AASU-এর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য গুয়াহাটিতে হাইকোর্ট ও রাজভবনের কাছে একটি মিছিলের আয়োজন করেন। AASU নেতারা সুপ্রিম কোর্টে CAA-এর বিরুদ্ধে একটি আবেদন করতে নয়াদিল্লি গিয়েছিলেন, কিন্তু সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিতে ফিরে আসেন।
কংগ্রেস, রাইজর দল এবং CPI(M) সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভে শামিল হয়।
আসামে বহুল-আলোচিত এই আইনের বিরোধিতা এতটাই তীব্র যে এমনকি কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির নেতা অখিল গগৈকে CAA আন্দোলনের সময় জেলে থাকা সত্ত্বেও ফের প্রতিবাদে যোগ দিতে দেখা গেছে।
এদিকে, পুলিশ এই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে মরিয়া। বিরোধী দলগুলিকে হরতাল প্রত্যাহারের নোটিশ দেওয়া হয়েছে, এবং ব্যর্থ হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও শোনা যাচ্ছে। এমনকি, কিছু কিছু জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে সমাবেশ বা বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আসামে CAA নিয়ে এই পরিস্থিতি কতদূর গড়াবে, সেটাই এখন দেখার।