একদিকে যেমন কেন্দ্র নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলেছে, তেমনি বিপরীতে রাজ্যে রাজ্যে চলছছে তুমুল প্রতিবাদ । পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ ঘোষণা, রাজ্যে সিএএ এবং ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি) চালু হতে দেবেন না। তাঁর মতে, এসব শুধুমাত্র নির্বাচনের আগে মানুষের মনে ভয় দেখানোর এক উপায়।
অন্যদিকে, কেরালার আইনমন্ত্রী পি রাজীভ জানিয়েছেন, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে সিএএ’র বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। তাঁরা মনে করেন, এই আইন সংবিধানের মৌলিক কাটামোর বিরুদ্ধে। এই লড়াইয়ে তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন।
এরই মাঝে, সিএএ-২০১৯ এর অধীনে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারীদের সাহায্যের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করার কথা জানিয়েছে হোম মিনিস্ট্রি । এই হেল্পলাইনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত নানান তথ্য পাওয়া যাবে ।
সিএএ এমন একটি আইন, যা বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আগত নির্যাতিত অ-মুসলিম অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ প্রশস্ত করে। এর মাধ্যমে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান এই সমস্ত ধর্মাবলম্বীরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে আসলে নাগরিকত্ব পাবেন।
এই প্রেক্ষাপটে, রাজ্য সরকারগুলির এই আইনি লড়াই এবং কেন্দ্রের আইন প্রয়োগের চেষ্টা এক নতুন রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সূচনা করেছে।