“সম্পদ এর পুনর্বন্টন” ইস্যুতে রাজস্থানের সভা থেকে রাহুল গান্ধিকে মাওবাদী বলে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তারই জবাবে রাহুল গান্ধী তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন তিনি জনগণকে সেই টাকাই দেবে যে টাকাটা মোদি আদানি কে দেয়। তিনি লেখেন, ” ‘আমরা আদানিদের সরকার গঠন করব না। আমরা ভারতীয়দের সরকার গঠন করব।”
লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই কংগ্রেস আবার আদানির দূর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়ে ওঠে। কংগ্রেসের কথায়, শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সেবি নাকি সম্প্রতি নিশ্চিত করেছে আদানি গোষ্ঠীতে বিদেশি কিছু সংস্থার বিনিয়োগ নিয়ম ভঙ্গ করেছে। তারা এও বলেছে এটি নাকি হিমশৈলের চূড়া মাত্র। সাধারণ মানুষ্কে আস্বস্ত করে কংগ্রেস জানায় ইন্ডিয়া ব্লক সরকার গঠন করলে আদানির বিরুদ্ধে যুগ্ম সংসদীয় কমিটির তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে। গত ৩ই জানুয়ারি আদানি কান্ডে সেবির তদন্ত অনুযায়ী শীর্ষ আদালতে যে রায় এসেছিল তা অনেকটাই ছিল আদানি গোষ্ঠীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণ করে জানান, ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের মতো কোনও রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে পৃথক তদন্ত করা যায় না।’
হিন্ডেরবার্গের রিপোর্ট প্রকাশিত হবার পর ধস নেমেছিল আদানির শেয়ারে। এই এত বিপুল পরিমাণ ক্ষতি সামাল দেওয়া আদানির পক্ষে সম্ভব ছিল না যদি না রাষ্ট্রীয় তরফ থেকে সরাসরি কোনো সাহায্য না আসত। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট মোতাবেক , বিদেশে বেনামি সংস্থা খুলে নিজেদের শেয়ার নিজেরাই কিনে নিত আদানি গোষ্ঠী। যদিও প্রথম থেকেই এই রিপোর্ট অস্বীকার করে এসেছে আদানি গোষ্ঠী। তারা প্রথম থেকেই বলে গেছে বিশ্ববাজারে তাদের অপদস্থ করার জন্যেই নাকি হিন্ডেনবার্গ এর এই ভুইয়ো রিপোর্ট।