অসমের ছাত্র রাজনীতির প্রধান শক্তি হিসেবে পরিচিত অল অসম স্টুডেন্টস্ ইউনিয়ন (AASU) সম্প্রতি নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, সংক্ষেপে CAA-এর বিরুদ্ধে নতুন করে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে। এই প্রতিবাদের মাধ্যমে AASU তাদের হারানো গুরুত্ব ফিরে পেতে চায়, যা সময়ের সাথে সাথে ম্লান হয়ে আসছিল।
ত্রিশটিরও বেশি জাতিগত সংগঠনের সঙ্গে জোট বেঁধে AASU ফের রাস্তায় নেমেছে CAA বাতিলের দাবিতে । তাদের দাবি ,এই আইন অসমের আদিবাসী সম্প্রদায়ের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলবে । অতীতে অসমের রাজনীতিতে AASU প্রভাব অনেক বেশি ছিল, এমনকি দুই জন মুখ্যমন্ত্রীও তাদের প্রভাবের ফলে অসমে আসে , এখন দেখার বিষয় AASU তাদের সেই হৃত ক্ষমতা আবার ফেরাতে পারে কিনা ।
CAA নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে তবে ১৯৮০-এর দশকের মতো ব্যাপক জনমোবিলাইজেশন বা ২০১৯ এবং ২০২০ সালের শক্তিশালী CAA বিরোধী গণআন্দোলন এখনো কোথাও দেখা যায়নি।
AASU-এর সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা রিট পিটিশনে CAA-এর সংশোধনী নিয়ম ২০২৪-কে অসম চুক্তি এবং ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের লঙ্ঘন বলে দাবি করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার আশ্বাস যে CAA-এর অধীনে নন-NRC আবেদনকারীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হলে তিনি পদত্যাগ করবেন , পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালও বলেছেন এই নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, সিএএ আসামের আদি বাসিন্দা জনগণের উপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।এর ফলে কিছুটা হলেও AASU সান্ত্বনা পেয়েছে , এবং আন্দোলনের তীব্রতা কিছুটা হলেও কমিয়ে দিয়েছে ।
অসমের ছাত্র রাজনীতির প্রেক্ষিতে AASU-র ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ । তাই তাদের এই CAA বিরোধী আন্দোলন কতদূর গড়াবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যায় না ।