দিল্লি হাইকোর্ট মদ সংক্রান্ত একটি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অগ্রিম গ্রেপ্তারির থেকে সুরক্ষা নাকচ করার কিছুক্ষণ পরেই, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছে যায়, এই মুহূর্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । ইডি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই একটি উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় । আম আদমি পার্টি (আপ) নেতা সঞ্জয় সিং এবং মনীষ সিসোদিয়া একই মামলার গ্রেপ্তার হয়ে আইনি হেফাজতে রয়েছেন। এছাড়াও, ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেতা কে. কবিতা গত সপ্তাহে এই একই বিষয়ে আটক হয়েছিলেন।
আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ জানিয়েছেন , কেজরিওয়ালের সিভিল লাইনস বাসভবনে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে । দিল্লি পুলিশ সেই স্থানে যাওয়ার রাস্তায় ব্যারিকেড স্থাপন করেছে। ভরদ্বাজ উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, তিনি মুখ্যমন্ত্রী বা তার সচিবের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছেন না । ইডি দলের তাদের ফোন বাজেয়াপ্ত করতে পারে এমন সম্ভাবনার ইঙ্গিত তিনি দিলেন । তিনি আরও বলেন , তার বাসভবনে অভিযান চলছে এবং তার গ্রেপ্তার হওয়া অবধারিত ।
ইডি কর্মকর্তারা তাদের এই অভিযানের উদ্দেশ্য কেজরিওয়ালকে কেবল সমন দেওয়া বলে জানালেও পিটিআই সূত্র জানা যাচ্ছে যে , কর্মকর্তারা তল্লাশি পরোয়ানা নিয়ে রেডি ছিলেন।
কেজরিওয়াল আগেই ইডির বেশ কয়েকটি সমন এড়িয়ে গেছেন। সমনের প্রসঙ্গে , আপ নেত্রী আতিশি বলেন , কেজরিওয়াল ইডি’র তদন্তে সহযোগিতা করতে আগ্রহী, কিন্তু আমরা মনে করি ইডি শুধু বিষয়টি তদন্ত করছে না, বিজেপির জন্য একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবেও কাজ করছে যাদের আসল উদ্দেশ্য কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা।
এ পর্যন্ত কেজরিওয়াল ইডি থেকে মোট নয়টি সমন পেয়েছেন, সর্বশেষটি তাকে ২১ মার্চ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে বলেছে, যা তিনি উপস্থিত হননি।
দিল্লির মেয়র শেলি ওবেরয় ইডি’র অভিযান এবং তল্লাশি অভিযানের পেছনের তাড়াহুড়ো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, কেজরিওয়ালের বাসভবনের চারপাশে বিরাট পুলিশের মোতায়েনের নিন্দা করেন।
আপ নেতা ও সমর্থকরা কেজরিওয়ালের বাড়ির চারপাশে জড়ো হয়েছেন, তাদের মতে ইডির এই কর্মকান্ড আসলে রাজনৈতিকভাবে প্রণোদিত এবং আসন্ন নির্বাচনের আগে আপকে দুর্বল করার একটি বড় ষড়যন্ত্র । আপ নেতারাও ইডি’র কর্মকাণ্ডের পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্তের উপর জোর দিচ্ছেন, তাদের মতে এগুলি রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে বিরোধী কণ্ঠস্বরগুলিকে টুঁটিচেপে ধরার চেষ্টা ।