মারাঠি লোকনাট্য ‘কালগিটুরা’ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ সাড়া ফেলেছে। জি নাট্য গৌরব পুরষ্কার ২০২৪-এ এই নাটকটি চারটি বিভাগে পুরস্কার জিতেছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টস (এনসিপিএ), মুম্বাইয়ের প্রযোজনায় তৈরি ‘কালগিটুরা’ । ‘দর্পণ’-এর মাধ্যমে এনসিপিএ এই মারাঠি নাট্যপ্রযোজনার পিছনে কাজ করেছে, যেখানে তুলে ধরা হয় উঠতি মারাঠি নাট্যকারদের কাজ।
‘কালগিটুরা’ একটি অনন্য লোকশিল্প, যেখানে স্থানীয় উপভাষায় লেখা লাভানি আর দুটি শব্দ ‘কালগি’ (শক্তি) ও ‘তুরা’ (শিব) মিলে গড়ে উঠেছে নাটকটির নাম। ৭০০ বছরের পুরনো এই শিল্পরূপের ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার এক প্রয়াস এই নাটক। আরও বহু লোককলার মতোই ‘কালগিটুরা’ গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয়গুলিকে দর্শকদের সামনে নিয়ে আসে, জটিল আবেগগুলিকে বিনোদনের মাধ্যমে সহজবোধ্য করে তোলে। এনসিপিএ-তে বেশ কয়েকটি সফল প্রদর্শনীর পর ‘কালগিটুরা’ মহারাষ্ট্রের অন্যান্য শহরেও প্রদর্শিত হয়ে দর্শকদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
এনসিপিএ’র থিয়েটার অ্যান্ড ফিল্মস বিভাগের প্রযোজক মিসেস রাজেশ্রী শিন্ডে ‘কালগিটুরা’-র সাফল্যে উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, “জি নাট্য গৌরব পুরষ্কারে ‘কালগিটুরা’র এই জয় আমাদের কাছে এক সত্যিকারের সম্মান। মঞ্চে বা মঞ্চের বাইরে, নাটকের সাথে জড়িত সমস্ত মানুষের নিষ্ঠা আর পরিশ্রমের স্বীকৃতি এই পুরস্কার। বিশ্বায়নের যুগে যারা আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখছেন, আমাদের লোকশিল্পের প্রাণবন্ত চেতনাকে ধরে রাখছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় এই সাফল্য। উমরাণে গ্রামের মানুষের কথা মনে রাখাও জরুরি, কারণ আমাদের নাটকের কাহিনীতে তাদের চেতনা একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।”
‘কালগিটুরা’র সাফল্য নিয়ে এনসিপিএ’র থিয়েটার অ্যান্ড ফিল্মস বিভাগের প্রধান ব্রুস গাথ্রি বলেন, “আমাদের ‘কালগিটুরা’ যেভাবে দর্শকমনে জায়গা করে নিয়েছে, তা অত্যন্ত আনন্দের । জি নাট্য গৌরব পুরষ্কারের মতো মঞ্চ আমাদের নাট্যকার ও শিল্পীদের কাজকে যেভাবে সম্মানিত করে, তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এনসিপিএ সবসময়ই আঞ্চলিক ভাষার শিল্পী ও লেখকদের আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় করতে চায়। আমাদের ইচ্ছে ‘কালগিটুরা’র প্রদর্শনী মহারাষ্ট্রের গন্ডি পেরিয়ে আরও দূর দেশে ছড়িয়ে পড়ুক…আমরা মে ২০২৪ এ আমাদের মারাঠি থিয়েটার উৎসব ‘প্রতিবিম্ব’-এর জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।”