নির্বাচনের আগে, কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মোদী গ্যারান্টি’কে ‘চীনা গ্যারান্টি’ বলে কটাক্ষ করেছে। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খার্গে বলেন, “মোদি সরকার আমাদের ভারতের অখণ্ডতা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলেছে, লাদাখের নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারের উপর আঘাত করছে। ২০১৪ সাল থেকে মোদি এবং তাঁর চীনা প্রেসিডেন্টের মধ্যে অন্তত ১৯ দফা একান্ত আলোচনা হলেও সরকার ২০২০ সালের আগের মত যে স্থিতিশীল অবস্থা ছিল তা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। চীন এখনও দেপসাং প্লেইনস, হট স্প্রিংস এবং গোগরা অঞ্চলে ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে।”
খার্গে মোদির গ্যারান্টিকে তীব্র ব্যঙ্গ করে ‘চীনা গ্যারান্টি’ বলে বর্ণনা করেছেন , লাদাখে জনগণের মধ্যে একটি প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে তারা সংবিধানের ষষ্ঠ অনুচ্ছেদের অধীনে স্থানীয় উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য সুরক্ষা দাবি করছে । কিন্তু অন্যান্য সব গ্যারান্টির মতো, ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ লাদাখের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার ব্যাপারে একটি বিশাল প্রতারণা করে চলেছে । মোদি সরকার লাদাখের পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল হিমালয়ের হিমবাহগুলি অধিগ্রহণ করে তার ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি বন্ধুদের সুবিধা দিতে চায়।
কংগ্রস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, চীনকে পাবলিক ক্লিন চিট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজের হাত বেঁধে ফেলেছেন এবং চীনের আগ্রাসনে রুখে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন । আমরা কেন আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠিনি এবং পাল্টা অনুপ্রবেশ করিনি যা চীনকে যথাযত ভাবে চ্যালেঞ্জ করতে পারত । যেমনটি আমরা ১৯৮৬ এবং ২০১৩ সালে করেছিলাম । তিনি আরও বলেন যে ভারতীয় সৈন্যদের দেপসাং প্লেইনসে প্রবেশের অধিকার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সীমান্তে চীনের আগ্রাসনের পরেও অবাধ ও উন্মুক্ত ব্যবসায়িক সম্পর্ক কেন বজায় রাখা হয়েছে , কাদের স্বার্থে ? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
২০১৪ সালের আগে ভারতের চীন থেকে আমদানির অংশ প্রায় ১১ শতাংশ ছিল। তারপর থেকে এটি দ্রুত বেড়েছে, গত কয়েক বছরে এই বৃদ্ধির হার গড়ে প্রায় ১৫ শতাংশ হয়েছে। চীন থেকে আমদানির অনুপাত বেড়ে গেছে
যা আমাদের দেশীয় শিল্পকে প্রচুর ক্ষতি করছে এবং দীর্ঘস্থায়ী বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে ।”
কংগ্রেস সরকারের কাছে এই সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছে। নির্বাচনের আগে এই ধরনের বিতর্ক প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। ভারতের জনগণ এখন সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং চীনের সাথে সম্পর্কের ভবিষ্যত দিক নিয়ে অপেক্ষার পাশাপাশি লাদাখ নিয়ে কি পদক্ষেপ সরকার নেয় সেদিকেই তাকিয়ে ।