বেশিক্ষণ ধরে রান্না করলেই নষ্ট হবে আম ডালের পুষ্টিগুন।আম ডাল একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নিয়মিত আম ডাল খাওয়া আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে রান্না করলে আম ডালের পুষ্টিগুণ বজায় রাখা সম্ভব।
গবেষণা বলছে, বেশি সময় রান্না করলে আম ডালের কিছু পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়
১)ভিটামিন C:
ভিটামিন C জলে দ্রবণীয় এবং তাপমাত্রায় সংবেদনশীল। বেশি সময় রান্না করলে ভিটামিন C এর অনেকটা নষ্ট হয়ে যায়।
২)ফোলেট:
ফোলেটও জলে দ্রবণীয় এবং তাপ সংবেদনশীল। দীর্ঘক্ষণ রান্না করলে ফোলেটের পরিমাণও কমে যায়।
৩)এনজাইম:
আম ডালে প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে এমন কিছু এনজাইম থাকে। বেশি সময় রান্না করলে এই এনজাইমগুলি নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে শরীরের জন্য প্রোটিন শোষণ করা কঠিন হয়ে যায়।
তবে, কিছু টিপস মেনে চললে আম ডালের পুষ্টিগুণ বজায় রাখা সম্ভব:
১)বেশিক্ষণ রান্না করা এড়িয়ে চলুন:
আম ডাল সিদ্ধ করতে বেশি সময় লাগে না। নরম হওয়ার জন্য 10-15 মিনিট যথেষ্ট।
২)আঁচ কম রাখুন:
উচ্চ আঁচে রান্না করলে পুষ্টিগুণ দ্রুত নষ্ট হয়। তাই কম আঁচে রান্না করুন।
৩)প্রয়োজন অনুযায়ী জলযোগ করুন:
বেশি জল ব্যবহার করলে পুষ্টিগুণ জলে মিশে যেতে পারে। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী কম জল ব্যবহার করুন।
৪)প্রেসার কুকার ব্যবহার করুন:
প্রেসার কুকার ব্যবহার করে দ্রুত রান্না করা সম্ভব, যার ফলে পুষ্টিগুণের ক্ষতি কম হয়।
৫)লবণ কম ব্যবহার করুন:
বেশি লবণ রক্তচাপ বাড়াতে পারে।তাই কম লবন ব্যবহার করুন।
৬)তাজা আম ব্যবহার করুন:
পুষ্টিগুণের জন্য তাজা আম ব্যবহার করা ভালো।
আম ডাল রান্নার রেসিপি:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মুসুর ডাল | ১ কাপ |
কাঁচা আম | ১ টা (মাঝারি আকারের) |
পেঁয়াজ কুচি | ১/২ কাপ |
রসুন কুচি | ১ টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১ চা চামচ |
জিরা গুঁড়ো | ১/২ চা চামচ |
ধনে গুঁড়ো | ১/২ চা চামচ |
হলুদের গুঁড়ো | ১/২ চা চামচ |
লবণ | স্বাদমতো |
চিনি | ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক) |
সরিষার তেল | ২ টেবিল চামচ |
শুকনো মরিচ | ২-৩ টি |
জল | পরিমাণমতো |
ধনেপাতা কুচি | সাজানোর জন্য |
রান্নার পদ্ধতি
ধাপ | কাজ |
---|---|
1 | ডাল ভালো করে ধুয়ে ৩০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। |
2 | কাঁচা আম ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। |
3 | একটি প্রেসার কুকারে তেল গরম করে তাতে জিরা, শুকনো মরিচ, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা করে ভাজুন। |
4 | রসুন কুচি, আদা বাটা, হলুদের গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। |
5 | ভেজা ডাল, কাঁচা আম, লবণ, চিনি (ঐচ্ছিক) ও পানি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। |
6 | প্রেসার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে ৩-৪ সিটি বাজান। |
7 | প্রেসার কুকারের চাপ কমে গেলে ঢাকনা খুলে ডাল ভালো করে নেড়েচেড়ে নিন। |
8 | প্রয়োজনে আরও লবণ ও চিনি দিয়ে স্বাদমতো করে নিন। |
9 | গরম ভাতের সাথে কাঁচা আমের টক ডাল পরিবেশন করুন। |
10 | ধনেপাতা কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করলে আরও সুস্বাদু লাগবে। |