জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU) ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) ছাত্র সংগঠন (ABVP)র বিরাট পরাজয়ের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স( টুইটার)-এ আবার #NoVoteToBJP হ্যাসট্যাগটি ট্রেন্ডিং এ আসতে শুরু করে , গত কাল রাতের দিকে তা শীর্ষে পৌঁছায় ।
2021 সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপির বিরুদ্ধে সকল মানুষকে সংঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে #NoVoteToBJP হ্যাশট্যাগটি জনপ্রিয় হয় । বিজেপিকে রাজনৈতিক ভাবে রুখে দিতে এবং ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধ এবং গণতান্ত্রিক নীতিকে রক্ষা করার এক ভাবনা থেকেই এই ডিজিটাল আন্দোলনের জন্ম ।
এই ডিজিটাল আন্দোলন কেবল কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের মেশিনারির পণ্য নয়, বরং পশ্চিমবঙ্গের সক্রিয় নাগরিক, বুদ্ধিজীবী, সেলিব্রিটি এবং সাধারণ মানুষের এক সম্মিলিত প্রয়াসে চালিত হয়। নাগরিক সমাজের এই ডিজিটাল আন্দোলনের ফলে প্রভাবিত হয় বিরাট অংশের মানুষ , 2021 সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপির পরাজয় ঘটে তৃণমূল কংগ্রেস আবারো ক্ষমতায় আসে । সেক্ষেত্রে #NoVoteToBJP প্রচারণার সরাসরি প্রভাব নির্ধারণ করা কঠিন হলেও, এটি নিঃসন্দেহে জনমত গঠনে এবং আধুনিক নির্বাচনী রাজনীতিতে ডিজিটাল কর্মকাণ্ডের যে যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে তা প্রমাণ করে ।
তাই স্বাভাবিক ভাবেই আবার #NoVoteToBJP হ্যাশট্যাগটি আলোচনায় আসার জন্য বিজেপি চিন্তিত । যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসাবেই দেখা হচ্ছে । তাদের বক্তব্য অনুসারে এটা JNU ক্যাম্পাসে তাদের পরাজয়ের তাৎক্ষনিক বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয় ।
JNU ক্যাম্পাস বামপন্থী আদর্শ এবং সক্রিয় ছাত্র রাজনীতির জন্য দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত । বাম ছাত্র সংগঠনের এই বিজয় স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের প্রাক্কালে বিজেপিকে খানিকটা হলেও বেকায়দায় ফেলেছে ।
BJP- আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য অবশ্য এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ । তিনি বিভিন্ন রাজ্যে এবং সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপির অব্যাহত শক্তিশালী পারফরম্যান্সকে জনপ্রিয় সমর্থনের প্রমাণ হিসেবে দেখিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির গতিবিধি বৃহত্তর জনগণের রাজনৈতিক প্রবণতা প্রতিফলিত করে না তাই এ নিয়ে বিশেষ মাথা ব্যথার কারণ আছে বলে আমি মনে করিনা ।