কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ ভাবে নিরাপদ নয়। এই ভ্যাক্সিন নিলে হতে পারে TTS (Thrombosis with thrombocytopenia syndrom) এর মত মারণব্যধী। কোভিশিল্ড বিষয় এই বিতর্ক নিয়েই শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। ভ্যাক্সিনের সাইড এফেক্টে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে দেওয়া হতে পারে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ।
সম্প্রতি কোভিশিল্ড নিয়ে বিপুল বিতর্কের ঝড় উঠেছে আন্তর্জাতিক মহলে। এই কোভিশিল্ড ভ্যক্সিন এর উৎপাদন পদ্ধতি ছিল ইংল্যান্ডের কম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি দ্বারা নির্মিত। বৃহদভাবে তার প্রস্তুৎ এবং বাজারীকরণ করেছিল Serum Institute of India. কিন্তু UK এর বাসিন্দা জেমি স্কট হাই কোর্টে অ্যাস্ট্রা জেনেকার বিরুদ্ধে মামলা করে যে ২০২১ সালে এই ভ্যাক্সিন নেবার পর থেকেই তার মাথায় রক্ত জমাট বেধেছে এবং তিনি ভীষণভাবেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই মামলার শুনানিতে অ্যাস্ট্রেজেনেকা অবশেষে স্বীকার করে যে তাদের ভ্যক্সিনের সাইড এফেক্ট হিসেবে TTS হবার ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে। কম্পানির এই বিবৃতির পরেই শোরগোল পড়ে যায় আন্তর্জাতিক মহলে।
আগেও এই ভ্যাক্সিন কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বহু দেশ। প্রথমে ডেনমার্ক তারপর আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড , বুলগেরিয়ে সহ বহু দেশ এই ভ্যাক্সিন কে তাদের দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এই সাইড এফেক্টের অভিযোগেই। তখন অ্যাস্ট্রাজেনেকা মারফত জানানো হয় তাদের ভ্যাক্সিন গ্রহণ করলে কোনো সাইড এফেক্টের সম্ভাবনা ই নেই। ভারতেও এই ভ্যক্সিন নেবার জন্যে সামাজিক ভাবে মানুষের মধ্যে ভীষণভাবে চাপ সৃষ্টি করা হয়। ভ্যাক্সিন গ্রহণ খাতায় কলমে ইচ্ছাধীন থাকলেও ভ্যাক্সিন না থাকলে বহু জায়গা থেকেই সেই সময় মানুষ হচ্ছিল বঞ্চিত। বহু হোটেল ভ্যাক্সিন এর সার্টিফিকেট ছাড়া থাকতে দিচ্ছিল না, ইন্টারন্যাশেনাল ট্র্যাভেল করা যাচ্ছিল না ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন এই ভ্যাক্সিন বিতর্কের পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির তৎকালীন সিদ্ধান্ত কে সমালোচনা করা হলে ভ্যাক্সিন সার্টিফিকেট গুলো থেকে মোদির ছবি ই উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে পেটিশন দিলে সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। জাস্টিস ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এই মামলার শুনানি সম্বন্ধে আশ্বস্ত করলেও কোর্ট থেকে এখনো শুনানির তারিখ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।