ইলেক্টোরাল বন্ড সম্পর্কিত সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) জানিয়েছে যে ২০১৮ সালের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত মাত্র তিনটি রাজনৈতিক দল ইলেক্টোরাল বন্ড-এর জন্য অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালের ৩১শে মার্চ নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে ১৪ হয়েছিল এবং এক সপ্তাহ পরে, ১২ই এপ্রিল নাগাদ এই সংখ্যা ১৮ হয়ে যায়। ২০২০ সালের ৩১শে মার্চ নাগাদ এই সংখ্যা ছিল ২২ এবং এই সংখ্যা ২০২১ সালের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত অপরিবর্তিত ছিল। ২০২২ সালের ৩১শে মার্চ নাগাদ এই সংখ্যা হয়েছিল ২৪ এবং ২০২৩ সালের ৩১শে মার্চ নাগাদ এই সংখ্যা ২৫ শে পৌঁছায় । ২০২৪ সালের ২১শে মার্চ নাগাদ এই সংখ্যা একই রয়েছে, অর্থাৎ ২৫টি রাজনৈতিক দল ইলেক্টোরাল বন্ড-এর জন্য অ্যাকাউন্ট খুলেছে ।
SBI এই দলগুলির নাম প্রকাশ করেনি। তবে জানা গেছে, বিজেপি এই বন্ডগুলির অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ৮,২৫১ কোটি টাকা পেয়েছে। টিএমসি, কংগ্রেস, ভারত রাষ্ট্র সমিতি এবং বিজু জনতা দল গুলির টাকার অঙ্ক তাক লাগানোর মত হলেও তারা বিজেপির থেকে অনেক দূরে রয়েছে। বন্ড ছাড়াও অন্যান্য অর্থায়ন হিসেবে বিজেপি প্রায় ৬৫% অর্থ পেয়েছে।
SBI (D&TB) Responses Da… by The Wire
ব্লুমবার্গ ইতিমধ্যেই ২০১৯ সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনকে বিশ্বের সর্বাধিক ব্যয়বহুল নির্বাচন হিসেবে চিহ্নিত করেছে, ২০১৬ সালের আমেরিকার নির্বাচনের চেয়েও বেশি খরচের ছিল। এই পরিস্থিতি ভারতের গণতান্ত্রিক মর্যাদার জন্য শুভ সংকেত নয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের অর্থায়ন পদ্ধতি দেশের রাজনীতিতে বড় কোম্পানিগুলির প্রভাব বাড়াতে পারে এবং সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর দুর্বল করতে পারে। এই বন্ডগুলির মাধ্যমে অর্থ প্রদানের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ না হওয়ায়, দানকারীদের পরিচয় গোপন থাকে, যা নির্বাচনী অর্থায়নের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো এবং নির্বাচনী অর্থায়নের প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করার জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এই প্রচেষ্টায় সাধারণ নাগরিক, সাংবাদিক, এবং সমাজসেবীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন। সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক নির্বাচনী অর্থায়ন জরুরী ।