পটল আমাদের জনপ্রিয় সব্জির অন্যতম । পটল খেতে যেমন ভালো তেমনি এর থেকে তৈরি হয় নানান উপাদেয় সব পদ । ছোটো বেলার মা ঠাকুমার হাতের পটল ভাজা আর পটল দোরমার স্বাদ কে বা ভুলতে পারে । তবে আজ পটল নয় বরং পটলের কচি পাতা এবং কচি ডোকা দিয়ে এমন তৈরি এমন এক পদের কথা আপনাকে জানানো হবে যাতে এই বিস্বাদ গরমেও আমনার মুখে এনে দেবে এক অন্যন্য স্বাদ ।
পটলের কচি পাতা এবং কচি ডোকা স্বাদে তেতো । উচ্ছের চেয়ে অনেক বেশিই তেতো । তবে এই তেতো স্বাদ কেই ভুসো চিংড়ি দিয়ে কীভাবে দারুণ আস্বাদেয় করে তোলা যায় সেটাই আলোচনা করা হবে ।
উপকরণ:
- পটল পাতা – পরিমাণ মত
- আলু – পরিমান মত
- কুচো চিংড়ি- পরিমাণ মত
- পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
- রসুন কুচি – ১ টেবিল চামচ
- আদা কুচি – ১ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ কুচি – ২-৩ টি
- হলুদ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- ধনে গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
- তেল – পরিমাণমতো
প্রণালী:
- পটল পাতা আর ডোকা গুলিকে কেটে ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন।
- আলু গুলিকে স্লাইস ব্লক করে ভালো করে কেটে নিন
- ভুসো চিংড়ি গুলোকে পরিস্কার করে রেডি রাখুন
- চিংড়ি গুলিকে আগে ভেজে মুচমুচে করে রাখুন
- একটি কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি বাদামী করে ভেজে নিন।
- এরপর রসুন কুচি, আদা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভাজুন।
- হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
- পটল পাতা – ডোকার কুচি আর আলু দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভাজুন।
- এর পর ভাজা চিংড়ি গুলো রান্নায় ঢেলে দিন
- পাতা নরম না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
- ঝোল ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।
পরিবেশন:
গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন পটল পাতার এই সুস্বাদু খাবার।
টিপস:
- পটল পাতা আর ডোকা কুচি করার সময় মোটা করে কাটুন।
- ঝোল বেশি পাতলা বা ঘন করতে পারেন আপনার পছন্দ অনুযায়ী।
- ঝাল পছন্দ করলে কাঁচা মরিচের পরিমাণ বাড়াতে পারেন।
পটল পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা:
- পটল পাতা ভিটামিন এ, সি, এবং আয়রনের ভালো উৎস।
- এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- পটল পাতা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
- এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- পটল পাতা ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী।
- গরমে মুখের স্বাদ বাড়ায়