পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি রাজীব কুমারকে বদলি করার পরে, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা এবং রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন মঙ্গলবার ইলেকশন কমিশনের পরিবর্তে সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা নির্বাচন পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে বিজেপি ভারতের নির্বাচন কমিশনকে (ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া ) নিজ স্বার্থে ব্যবহার করছে। তিনি বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে বলেছেন যে তারা লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী পরিবেশকে প্রভাবিত করছেন।
ও’ব্রায়েন একটি পোস্টে বলেছেন, বিজেপির নোংরা কৌশল ইলেকশন কমিশন -এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করছে। বিজেপি কি এতটাই নার্ভাস যে তারা ইলেকশন কমিশন কে একটি দলীয় অফিসে পরিণত করে বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তুতে রূপান্তরিত করছে? নির্বাচিত রাজ্য সরকারের অফিসারদের ইচ্ছামত বদলি করা হচ্ছে! আমরা চাই সম্পূর্ণ ভাবে সুপ্রিম কোর্ট এই নির্বাচন পরিচালনা করুক ।
BJP's filthy tricks destroying institutions like ECI. Are BJP so nervous to face people that they are turning ECI into a party office to target Oppn? ECI or HMV? Transferring officers of elected State govts! For free & fair elections
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) March 19, 2024
WE WANT SUPREME COURT MONITORED ELECTION 2024
এর আগে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ইলেকশন কমিশন ডিজিপি রাজীব কুমারকে বদলির সিদ্ধান্তের পরে কেন্দ্রীয় সরকারকে সমালোচনা করে বলেছেন, আমরা দেখেছি যে বিজেপি ইলেকশন কমিশন সহ বিভিন্ন সংগঠন প্রবল ভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। তারা কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি এবং বিভিন্ন সংগঠনের পুরোপুরি কব্জা করে নিয়েছে। এই ক্ষেত্রেও, লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণার পরে, আজ আমরা যা দেখেছি তা বিজেপির পরিকল্পনার প্রতিফলন। তারা এই ধরনের সংস্থাগুলির কার্যক্রম দখল এবং নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, ইলেকশন কমিশন তার ব্যাতিক্রম নয় ।
এই বিতর্কের সূত্রপাত হল যখন পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি রাজীব কুমারকে ইলেকশন কমিশন নতুন আইপিএস অফিসার বিবেক সাহায়ের সাথে বদলি করা হয় । ইলেকশন কমিশন জানিয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি এবং ছয় রাজ্যের হোম সেক্রেটারিদের বদলির পদক্ষেপগুলি নির্বাচনী স্বাধীন শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইলেকশন কমিশন সোমবার গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সহ ছয় রাজ্যের হোম সেক্রেটারিদের অপসারণের জন্য আদেশ জারি করেছে। এছাড়াও, ইলেকশন কমিশন ছয় রাজ্যের কিছু প্রধান কর্মকর্তাদের অপসারণের আদেশ দিয়েছে, তারা বলেছে যে এটি নির্বাচনের স্বাধীন শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত ।
মিজোরাম এবং হিমাচল প্রদেশের সাধারণ প্রশাসনিক বিভাগের সচিবদেরও ইলেকশন কমিশন অপসারণ করেছে।
পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচন সাত দফায় অনুষ্ঠিত হবে । শুরু হবে ১৯ এপ্রিল থেকে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ২২টি আসন জিতেছিল, যার ভোটের হার ছিল ৪৩.৭ শতাংশ, অন্যদিকে বিজেপি ১৮টি আসন জিতেছিল, যার ভোটের হার ছিল ৪০.৬ শতাংশ। কংগ্রেস এ রাজ্যে দুটি আসন জিতেছিল।