যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) বলছে তারা দইকে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্যকারী খাদ্য হিসেবে প্রচার করার অনুমতি দিয়েছে। এফডিএ জানিয়েছে যে সপ্তাহে কমপক্ষে দুই কাপ দই খেলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা কমাতে পারে।
শেষ এক দশকে টাইপ ২ ডায়াবেটিস বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা এই রোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় যখন শরীর যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না, অথবা শরীর ইনসুলিনের প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
দইয়ে উপস্থিত প্রোবায়োটিক উপাদান বিপাকীয় স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে, শরীরে প্রদাহ কমাতে পারে, গ্লুকোজ মেটাবলিজম উন্নত করতে পারে, এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে। এসবের ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
দইয়ের উপকারিতা নিয়ে আশাবাদী হলেও, বিশেষজ্ঞরা সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন। দইয়ে উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকলেও, অনেক সময় দইয়ে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকে, বিশেষ করে চিনি বা কৃত্রিম মিষ্টি যোগ করা দইয়ের ক্ষেত্রে। তাই সামগ্রিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে নজর রাখা এবং বিচক্ষণতার সাথে দই খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
তবে, ডায়াবেটিসের পূর্বাবস্থা বা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুধুমাত্র দইয়ের উপর নির্ভর করা যথেষ্ট নয়। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস (কম প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট, চিনিযুক্ত পানীয় এড়ানো), নিয়মিত শরীরচর্চা, এবং সঠিক শরীরের ওজন বজায় রাখা – এগুলো সামগ্রিকভাবে বিপাকীয় স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য অপরিহার্য।
পাশাপাশি, পশ্চিমা দেশগুলোতে পাওয়া যায় এমন দই এবং ভারতে প্রচলিত টক দইয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে খাদ্যতালিকায় দইয়ের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে এফডিএ-র সাম্প্রতিক বুলেটিন যথেষ্ট আশার আলো দেখাচ্ছে। কিন্তু, এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে।