গত সোমবার হাইকোর্টের ২৫৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের রায় কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পৌছয় SSC. আজকে তার ছিল প্রথম শুনানি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করছে।
গত সোমবারের হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ২০১৬ এর পুরো প্যানেল ই বাতিল হয়ে যায়। ২৫,৭৫৩ জন নিজের চাকরি হারায়। এদের মধ্যে যারা সাদা খাতা জয়া দিয়ে চাকরি পেয়েছিল তাদের ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় নিজের তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে সিবিয়াই । মন্ত্রীসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল , অযোগ্যদের চাকরি দেযয়ার জন্য বাড়তি পদ তৈরির অনুমোদন দিয়েছিলেন মন্ত্রীসভা নিজে। তাই আদালত জানিয়েছিল সিবিআই চাইলে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো সম্পূর্ণ জালিয়াতি।’’
আজ সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো সম্পূর্ণ জালিয়াতি।’’ প্রধান বিচারপতি এসএসসি এর আইনজীবি কে আরো প্রশ্ন করেন যে বে-আইনি ভাবে নিয়োগ জেনেও কেন বাড়তি পদ তৈরির অনুমোদল দিয়েছিল মন্ত্রীসভা। রাজ্যের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করে নির্বাচনের কারণে মন্ত্রীসভার ওপর সিবিআই এর তদন্তের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় তার কারণ তদন্ত হলে নির্বাচনের প্রাককালে মন্ত্রীসভার জেলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তার এই কথা মেনে সুপ্রিম কোর্ট মন্ত্রীসভার ওপর সিবিআই এর সাময়িক স্থগিতাদেশ দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের প্রথম শুনানির সিদ্ধান্ত রাজ্যের কিছুটা পক্ষে গেলেও যে ২৫৭৫৩ জন চাকরিহারা হয়েছে … বিশেষত যে সব যোগ্য চাকরিপ্রার্থী চাকরিহারা হয়েছে হাই কোর্ট এর রায় অনুযায়ী তাদের চাকরি ফেরানোর কোনো সিদ্ধান্ত জানালেন না সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার শুনানি আবার হবে সোমবার।