Xiaomi তাদের নিজস্ব কারখানায় CyberOne নামের এক অভিনব হিউম্যানয়েড রোবটের ব্যবহার শুরু করতে যাচ্ছে। এই রোবটের মাধ্যমে তারা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তন আনতে চায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, এই রোবট দেখতে অনেকটা মানুষের মতো এবং এটি বিভিন্ন কাজ করতে সক্ষম।
CyberOne হচ্ছে Xiaomi’র Cyber সিরিজের সর্বশেষ সংযোজন। এর আগে তারা CyberDog এবং CyberDog 2 নামে দুটি রোবট বাজারে এনেছে। তবে এবারের রোবটটি আগের দুটির থেকে অনেক বেশি উন্নত এবং সক্ষম। এই রোবটটির বিশেষত্ব হচ্ছে এটি মানুষের মতো দুই পায়ে হাঁটতে পারে, ভারসাম্য রাখতে পারে এবং এমনকি মানুষের মতো আচরণও করতে পারে।
Xiaomi’র এই পদক্ষেপ আসলে ভবিষ্যতের উৎপাদন ব্যবস্থার এক প্রতিচ্ছবি। তারা এই রোবটকে ধাপে ধাপে তাদের কারখানায় ঢুকিয়ে দেবে। প্রথমে ছোট ছোট কাজ দিয়ে শুরু করে পরে ধীরে ধীরে আরও জটিল কাজে ব্যবহার করা হবে। এর ফলে কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, নিখুঁত এবং লাভজনক হবে।
Xiaomi এই রোবট বানিয়েই থেমে থাকতে চায় না। তারা চায় এই প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করতে। তাই তারা একটি ওপেন-সোর্স প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে, যেখানে সবাই মিলে এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে পারবে। এর ফলে সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং গবেষকরা একসাথে কাজ করে এই প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করতে পারবে।
Xiaomi আশা করছে যে শুধু তাদের নিজস্ব কারখানায় নয়, এই রোবটটি ভবিষ্যতে অন্যান্য বিভিন্ন শিল্পেও ব্যবহার করা যাবে। যেমন ইলেকট্রনিক্স, যন্ত্রপাতি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, এমনকি গাড়ি শিল্পেও। এর ফলে সারা বিশ্বের শিল্প-কারখানায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
CyberOne শুধু Xiaomi’র জন্যই নয়, বরং চীনের রাজধানী বেইজিং এর জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট। এই ধরনের রোবট তৈরির ক্ষেত্রে বেইজিং শহরের এটিই প্রথম প্রচেষ্টা।
Specs on CyberOne humanoid robot from Xiaomi pic.twitter.com/Pw1SDAvG5Q
— Investors Guide To The Galaxy (@Alex_Ionescu) May 8, 2023
CyberOne রোবটটি দেখতে অনেকটা মানুষের মতো। এর দুটি হাত, দুটি পা এবং একটি মাথা রয়েছে। এটি নিজে নিজেই হাঁটতে পারে, ভারসাম্য রাখতে পারে, এমনকি মানুষের মতো আচরণও করতে পারে। এর চারপাশে কী ঘটছে তা এটি সঠিকভাবে বুঝতে পারে এবং সে অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। এছাড়া এর নিজস্ব AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা রয়েছে, যার সাহায্যে এটি নিজে থেকেই অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এই রোবটের ব্যবহার Xiaomi’র কারখানায় উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত, নিখুঁত এবং লাভজনক করে তুলবে। একই সাথে ভবিষ্যতে অন্যান্য শিল্পেও এর ব্যবহার শুরু হলে তা সারা বিশ্বের উৎপাদন ব্যবস্থাকে পাল্টে দিতে পারে।
তবে এই ধরনের রোবটের ব্যবহার বাড়লে হয়তো অনেক মানুষের চাকরি চলে যেতে পারে। সেই সমস্যাকে কীভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব তা নিয়ে এখনই বিশেষ ভাবনার প্রয়োজন ।