প্রথমেই আপনার মোবাইল ইন্টারনেটের স্পিড চেক করা উচিত। এটি আপনাকে আপনার ইন্টারনেট সংযোগের সঠিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা দেবে। বিভিন্ন অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে সহজেই আপনি ইন্টারনেট স্পিড পরীক্ষা করতে পারেন। জনপ্রিয় স্পিড চেকিং অ্যাপগুলির মধ্যে রয়েছে Ookla Speedtest, Fast.com, এবং OpenSignal. এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে আপনার ডাউনলোড এবং আপলোড স্পিড, ল্যাটেন্সি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন।
Ookla Speedtest অ্যাপটি খুবই জনপ্রিয় এবং এটি বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়। অ্যাপটি ইনস্টল করে চালু করুন এবং ‘Go’ বাটনে ক্লিক করুন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনার ইন্টারনেট স্পিড রিপোর্ট পাবেন। Fast.com ও একটি সহজ এবং নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট যা নেটফ্লিক্স দ্বারা পরিচালিত। শুধু Fast.com ওপেন করুন এবং এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ইন্টারনেট স্পিড চেক করবে।
OpenSignal অ্যাপটি আরো কিছু অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসে, যেমন আপনার আশেপাশের নেটওয়ার্ক সিগন্যাল মানচিত্র। এই অ্যাপটি দিয়ে আপনি আপনার এলাকার নেটওয়ার্ক কভারেজ এবং সিগন্যালের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ইন্টারনেট স্পিড চেক করার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ইন্টারনেট সংযোগের স্পিড কতটা স্লো এবং তা উন্নত করতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও, আপনার ইন্টারনেট প্রোভাইডারের সাথে যোগাযোগ করে তাদের থেকে সাহায্য নিতে পারেন। ইন্টারনেট স্পিডের সমস্যা কোন নির্দিষ্ট সময়ে বেশি হচ্ছে কিনা তা লক্ষ্য করুন এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ করুন
আমাদের স্মার্টফোনগুলি প্রতিদিন নানা ধরণের অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে পূর্ণ হয়, যার অনেকগুলি প্রয়োজনীয় নয়। এই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলি শুধুমাত্র ডিভাইসের মেমোরি ও র্যাম দখল করে না, বরং ইন্টারনেট স্পিডও কমিয়ে দেয়। ইন্টারনেট স্পিড ভালো রাখতে হলে, প্রথমেই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলি বন্ধ করা উচিত।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলি বন্ধ করতে প্রথমে আপনার ফোনের ‘Settings’ মেনুতে যান। সেখানে ‘Apps’ বা ‘Applications’ সেকশনে যান এবং সেখান থেকে সেই অ্যাপগুলির তালিকা দেখুন যা আপনি ব্যবহার করছেন না। প্রতিটি অ্যাপ খুলুন এবং ‘Force Stop’ অপশনটি সিলেক্ট করুন। এটি ঐ অ্যাপ্লিকেশনটি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেবে এবং এটি আর ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে না।
কিছু অ্যাপ্লিকেশন এমন থাকে, যেগুলি শুধু বন্ধ করলেই কাজ হয় না, সেগুলি পুরোপুরি আনইনস্টল করতে হয়। ‘Apps’ সেকশনে গিয়ে সেই অ্যাপ্লিকেশনগুলি সিলেক্ট করুন, যা আপনি আর ব্যবহার করবেন না এবং ‘Uninstall’ অপশনটি বেছে নিন। এইভাবে আপনি আপনার ফোনের স্টোরেজ এবং র্যামকে ফ্রি রাখতে পারবেন, যা ইন্টারনেট স্পিড বাড়াতে সহায়ক হবে।
এছাড়াও, কিছু অ্যাপ্লিকেশন নিজেদের আপডেট করতে থাকে এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা ব্যবহার করে। এই ধরনের অ্যাপগুলির ‘Auto-update’ অপশনটি বন্ধ করে দিন। এটি করতে হলে ‘Google Play Store’ এ যান, সেখান থেকে ‘Settings’ এ যান এবং ‘Auto-update apps’ অপশনটি ‘Do not auto-update apps’ এ সিলেক্ট করুন।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ ও আনইনস্টল করে আপনার মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানো সম্ভব। এই প্রক্রিয়াটি সহজ এবং কার্যকর, যা আপনার ডিভাইসের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হবে।
ক্যাশ ক্লিয়ার করুন
🔎︎ মোবাইল ডিভাইসের ক্যাশ মেমোরি ইন্টারনেট স্পিড স্লো হওয়ার একটি সাধারণ কারণ হতে পারে। ক্যাশ মেমোরি হলো অস্থায়ী ফাইল যা আপনার ডিভাইসের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এবং ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময় জমা হয়। এই ফাইলগুলি সময়ের সাথে সাথে জমা হতে থাকে এবং আপনার ডিভাইসের পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
আপনার মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড ঠিক রাখতে ক্যাশ মেমোরি নিয়মিত ক্লিয়ার করা উচিত। ক্যাশ ক্লিয়ার করার জন্য প্রথমে আপনার ডিভাইসের সেটিংস মেনুতে যান। সেখানে ‘স্টোরেজ’ বা ‘স্টোরেজ অ্যান্ড ইউএসবি’ অপশনটি নির্বাচন করুন। এরপর ‘ক্যাশড ডেটা’ বা ‘অ্যাপ ক্যাশ’ অপশনটি খুঁজে বের করুন এবং তা ক্লিয়ার করুন।
কিছু অ্যাপ্লিকেশন নিজস্ব ক্যাশ মেমোরি ব্যবহার করে। এই অ্যাপগুলির ক্যাশ ক্লিয়ার করার জন্য অ্যাপ্লিকেশন মেনুতে গিয়ে নির্দিষ্ট অ্যাপটি নির্বাচন করুন এবং ‘ক্লিয়ার ক্যাশ’ অপশনটি চাপুন। এটি করলে নির্দিষ্ট অ্যাপের সব অস্থায়ী ফাইল মুছে যাবে এবং অ্যাপটি নতুন করে শুরু হবে।
এছাড়া, আপনি তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ক্যাশ ক্লিয়ার করতে পারেন। গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে বিভিন্ন ক্লিনার অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ডিভাইসের ক্যাশ মেমোরি ক্লিয়ার করবে।
মোবাইলের ক্যাশ মেমোরি নিয়মিত ক্লিয়ার করার ফলে শুধু ইন্টারনেট স্পিডই বাড়বে না, বরং ডিভাইসের সামগ্রিক পারফরম্যান্সও উন্নত হবে। তাই ক্যাশ মেমোরি নিয়মিত ক্লিয়ার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস হিসেবে গড়ে তুলুন। এটি আপনার মোবাইল ডিভাইসকে দ্রুত এবং কার্যকর রাখার একটি সহজ কিন্তু কার্যকর উপায়।
নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করুন
মোবাইলে ইন্টারনেট স্পিড কমে গেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করাই হতে পারে সহজতম সমাধান। নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করার মাধ্যমে মোবাইলের নেটওয়ার্ক সংযোগ পুনরায় কনফিগার করা হয়, যা সঠিকভাবে কাজ না করা সমস্যাগুলি দূর করতে পারে।
প্রথমেই, আপনার মোবাইলের সেটিংস অপশনে যান। সেখানে নেটওয়ার্ক অথবা কানেকশন সেটিংস অপশনটি খুঁজে বের করুন। বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং মডেলের মোবাইল ফোনে এই অপশনগুলি বিভিন্ন নামে থাকতে পারে, যেমন “Network Settings”, “Mobile Networks”, বা “Connections”।
নেটওয়ার্ক সেটিংস অপশনে প্রবেশ করার পর, সাধারণত সেখানে “Reset Network Settings” নামে একটি অপশন পাবেন। এই অপশনটি বেছে নিন। অনেকে ভয় পান যে এই কাজ করার মাধ্যমে তাদের মোবাইলের ডেটা মুছে যাবে, কিন্তু চিন্তার কিছু নেই। রিসেট নেটওয়ার্ক সেটিংস করার মাধ্যমে শুধুমাত্র নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত সেটিংসই পুনরায় কনফিগার হয়, মোবাইলের স্টোরেজে থাকা কোনো তথ্য মুছে যায় না।
নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করার পর, আপনার মোবাইল পুনরায় চালু করুন। এরপর, মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড চেক করুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, ইন্টারনেটের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
নেটওয়ার্ক প্রস্তাবিত অবস্থায় ফিরে আসার ফলে মোবাইলের ইন্টারনেট সংযোগ আরও স্থিতিশীল এবং দ্রুত হতে পারে। এটি মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেমের সাথে নেটওয়ার্কের সামঞ্জস্যতা পুনরুদ্ধার করে, যা ইন্টারনেটের গতি উন্নত করতে সহায়ক।
তবে, যদি নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করার পরও ইন্টারনেট স্পিডের সমস্যা সমাধান না হয়, তাহলে আপনার নেটওয়ার্ক প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা অন্যান্য সম্ভাব্য সমাধানগুলি বিবেচনা করতে পারেন।
অ্যাপ আপডেট করুন
আপনার মোবাইলের ইন্টারনেট স্লো চলার অন্যতম কারণ হতে পারে পুরোনো বা আউটডেটেড অ্যাপ্লিকেশন। প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশনের নতুন ভার্সনে সাধারণত বাগ ফিক্স, উন্নত পারফরম্যান্স এবং নিরাপত্তা আপডেট অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই আপডেটগুলি আপনার মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
অ্যাপ আপডেট করার জন্য আপনার মোবাইলের প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরে যান এবং “My apps & games” বা “Updates” বিভাগে যান। এখানে আপনি দেখতে পাবেন কোন অ্যাপ্লিকেশনগুলির আপডেট পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলি আপডেট করার জন্য “Update” বোতামে ক্লিক করুন।
আপডেট করার সময়, এটি খেয়াল রাখুন যে কিছু অ্যাপ্লিকেশন ফাইল সাইজে বড় হতে পারে এবং ডাউনলোড করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। তাই আপডেটগুলি ডাউনলোড করার সময় একটি স্থিতিশীল ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার করা উত্তম। এটি আপনার মোবাইলের ডেটা খরচ কমাবে এবং দ্রুত আপডেট ডাউনলোড করতে সহায়ক হবে।
অ্যাপ আপডেট করার মাধ্যমে আপনি শুধু ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি পাবেন না, বরং নতুন ফিচার এবং উন্নত সিকিউরিটি পাবেন যা আপনার মোবাইল ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। তাই নিয়মিতভাবে আপনার মোবাইলের অ্যাপ্লিকেশনগুলি আপডেট করা একটি ভালো অভ্যাস।
ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা ব্যবহারের উপর নজর দিন
মোবাইল ইন্টারনেট স্লো চলার অন্যতম কারণ হলো ব্যাকগ্রাউন্ডে বিভিন্ন অ্যাপের ডাটা ব্যবহার। অনেক সময় আমরা লক্ষ্য করি না যে, আমাদের ডিভাইসে ইনস্টল করা অ্যাপগুলি ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা সঞ্চালনা করছে, যা ইন্টারনেটের স্পিড কমিয়ে দেয়। এই সমস্যার সমাধান করার জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা ব্যবহারের অনুমতি সীমিত করা অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে।
প্রথমে, মোবাইল ডিভাইসের সেটিংস মেনুতে যান এবং ডাটা ইউজেজ অপশনটি নির্বাচন করুন। এখানে আপনি দেখতে পারবেন কোন কোন অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে কতটুকু ডাটা ব্যবহার করছে। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলির ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা ব্যবহারের অনুমতি বন্ধ করে দিন। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে এটি করতে, নির্দিষ্ট অ্যাপের উপর ট্যাপ করে “Restrict background data” অপশনটি চালু করুন। আইওএস ডিভাইসে, সেটিংস মেনু থেকে নির্দিষ্ট অ্যাপ নির্বাচন করে “Background App Refresh” অপশনটি বন্ধ করুন।
এছাড়াও, আপনি চাইলে সিস্টেম আপডেট এবং অ্যাপ আপডেটগুলির জন্য ওয়াই-ফাই এর উপর নির্ভর করতে পারেন, যা মোবাইল ডাটার উপর চাপ কমাতে সাহায্য করবে। অনেক সময় অটোমেটিক আপডেট এবং সিঙ্কিং অপশনগুলি মোবাইল ডাটার ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে, যা ইন্টারনেট স্পিড স্লো করে দেয়। তাই, এই সেটিংসগুলি ম্যানুয়াল করে রাখা ভালো এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আপডেট করার জন্য ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা উচিত।
এভাবে ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করলে মোবাইল ইন্টারনেটের স্পিড উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। এটি কেবল ইন্টারনেট স্পিড বাড়াবে না, ব্যাটারি লাইফেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ভিপিএন ব্যবহার করুন
অনেক ক্ষেত্রে, ভিপিএন ব্যবহার করে ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানো যেতে পারে। ভিপিএন বা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক একটি প্রযুক্তি যা আপনার ইন্টারনেট কানেকশনকে এনক্রিপ্ট করে এবং অন্য একটি সার্ভারের মাধ্যমে রাউট করে। এর ফলে, আপনার আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) আপনার ইন্টারনেট অ্যাক্টিভিটি মনিটর করতে পারে না এবং এটি অনেক সময় ইন্টারনেট স্পিড বাড়াতে সহায়ক হয়।
ভিপিএন ব্যবহার করার জন্য প্রথমে একটি ভালো ভিপিএন অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। বাজারে অনেক ভালো ভিপিএন অ্যাপ পাওয়া যায়, যেমন: ExpressVPN, NordVPN, CyberGhost, ইত্যাদি। এই অ্যাপগুলি সাধারণত বিনামূল্যে কিছু সময়ের জন্য ব্যবহার করা যায় এবং পরবর্তীতে সাবস্ক্রিপশন নিয়ে ব্যবহার করা যায়। ভিপিএন অ্যাপ ডাউনলোড করার পর, সেটি ইনস্টল করুন এবং আপনার পছন্দের সার্ভারে কানেক্ট করুন।
ভিপিএন ব্যবহার করার সময় মনে রাখতে হবে যে, কিছু ক্ষেত্রে এটি ইন্টারনেট স্পিড কমিয়ে দিতে পারে। তাই, যদি আপনি দেখেন যে ভিপিএন ব্যবহার করে আপনার ইন্টারনেট স্পিড কমে গেছে, তবে অন্য একটি সার্ভারে কানেক্ট করার চেষ্টা করুন অথবা ভিপিএন বন্ধ করে দেখুন স্পিড বাড়ছে কিনা।
ভিপিএন ব্যবহার করার আরেকটি সুবিধা হলো এটি আপনার অনলাইন প্রাইভেসি রক্ষা করে। আপনি যখন ভিপিএন ব্যবহার করেন, তখন আপনার আইপি অ্যাড্রেস লুকানো থাকে এবং এটি হ্যাকারদের থেকে আপনাকে রক্ষা করে। তাই, ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর পাশাপাশি, ভিপিএন আপনার অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।
মোবাইল রিস্টার্ট করুন
মোবাইলে ইন্টারনেট স্পিড স্লো হলে, একটি সাধারণ কিন্তু কার্যকরী পদক্ষেপ হলো মোবাইল ফোনটি রিস্টার্ট করা। এটি একটি সহজ পদ্ধতি, তবে তা মাঝে মাঝে বিস্ময়করভাবে কার্যকর হতে পারে। মোবাইল রিস্টার্ট করার ফলে ফোনের অভ্যন্তরীণ মেমোরি রিফ্রেশ হয় এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসগুলি বন্ধ হয়ে যায়, যা ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি করতে সহায়ক হতে পারে।
মোবাইল ফোনটি রিস্টার্ট করার ফলে সিস্টেম ক্যাশে ক্লিয়ার হয়ে যায় এবং নতুন করে নেটওয়ার্ক সেটিংস আপডেট হয়। এতে করে মোবাইলের নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপন করতে সুবিধা হয় এবং ইন্টারনেট স্পিড তুলনামূলকভাবে ভালো হতে পারে। অনেক সময় মোবাইল ফোনটি দীর্ঘ সময় ধরে চালু থাকলে কিছু সফটওয়্যার গ্লিচ তৈরি হয়, যা ইন্টারনেট সংযোগকে প্রভাবিত করতে পারে। রিস্টার্ট করার মাধ্যমে এ সমস্যাগুলি দূর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এছাড়াও, মোবাইল ফোন রিস্টার্ট করার সময় ডিভাইসের র্যাম মেমোরি ও অন্যান্য হার্ডওয়্যার রিসোর্সগুলি রিফ্রেশ হয়। ফলে মোবাইলের পারফরম্যান্স উন্নত হয় এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর সময় ল্যাগ বা স্লো স্পিডের সমস্যাগুলি কমে যায়। মোবাইল রিস্টার্ট করার জন্য সাধারণত পাওয়ার বাটন চেপে ধরে রাখতে হবে এবং তারপর রিস্টার্ট অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।
মোবাইল ইন্টারনেট স্পিড স্লো হলে বিভিন্ন টেকনিক্যাল সমস্যার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এই সাধারণ রিস্টার্ট পদ্ধতি অনেক সময় সেই সমস্যাগুলি সমাধান করতে সক্ষম হয়। তাই মোবাইল ইন্টারনেটের স্পিড বাড়ানোর জন্য, মোবাইল রিস্টার্ট করা একটি কার্যকরী ও সহজ পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।