আজকাল ফোন শুধুমাত্র যোগাযোগ রক্ষা বা বিনোদনের জন্য ব্যবহার হয়না , নানান রকম প্রফেশনাল কাজের জন্য ফোন ব্যবহার জরুরী । আর এ সব ভারী কাজের জন্য ব্যাটারির উপরে প্রেশারও বাড়ে ফলে ব্যাটারি দ্রুত ড্রেইন করে , ফলে দেখা যায় কাজের জময় অনেক ক্ষেত্রেই ফোনে চার্জ থাকেনা । তবে চিন্তার কারণ নেই, ব্যাটারির আয়ু বাড়ানোর জন্য কয়েকটি সহজ কৌশল রয়েছে, যেগুলো প্রয়োগ করলেই অনেকটাই উপকার পাবেন।
- স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমানো: ফোনের ডিসপ্লেই সবচেয়ে বেশি ব্যাটারি খরচ করে। তাই স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমানোর মাধ্যমে ব্যাটারি বাঁচানো সম্ভব । ফোনের সেটিংস থেকে অথবা উপর থেকে নোটিফিকেশন বার নামিয়ে স্লাইডার দিয়ে স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমান। অটো-ব্রাইটনেস অপশন থাকলে সেটা চালু করতে পারেন, এতে আশেপাশের পরিবেশের আলো অনুযায়ী ফোনের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা অ্যাডজাস্ট হবে।
- ডার্ক মোড ব্যবহার করা: আপনার ফোনের ডিসপ্লে যদি AMOLED বা OLED হয় তবে ডার্ক মোড ব্যবহার করলে ব্যাটারি অনেকটাই বাঁচবে। কারণ ডার্ক মোডে কালো পিক্সেলগুলো আসলে বন্ধ থাকে, ফলে কম আলো জ্বলে এবং কম ব্যাটারি খরচ হয়। ডার্ক মোড চালু করতে ফোনের সেটিংসে গিয়ে ডিসপ্লে অপশনে দেখুন। সেখানে ডার্ক থিম বা ডার্ক মোডের অপশন পাবেন।
- অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ রাখা: আপনি হয়তো ব্যবহার করছেন না, কিন্তু অনেক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে এবং ব্যাটারি খরচ করে। তাই যে অ্যাপগুলো আপনার প্রয়োজন নেই, সেগুলো বন্ধ করে দিন অথবা ফোর্স স্টপ করে দিন। এছাড়া ফোনের সেটিংস থেকে অ্যাপগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাক্টিভিটি সীমিত করার অপশনও পেয়ে যাবেন।
- লোকেশন, ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখা: লোকেশন, ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই – এই তিনটি ফিচার সবসময় চালু রাখলে ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে যায়। তাই যখন এই ফিচারগুলোর প্রয়োজন নেই, তখন বন্ধ রাখুন। উপর থেকে নোটিফিকেশন বার নামিয়ে সহজেই এগুলো বন্ধ করা যায়।
- ভাইব্রেশন ও হ্যাপটিক ফিডব্যাক বন্ধ রাখা: নোটিফিকেশন বা টাইপ করার সময় ভাইব্রেশন অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু এতে ব্যাটারি খরচ হয়। তাই যদি আপনার খুব বেশি প্রয়োজন না হয়, তাহলে ফোনের সেটিংস থেকে ভাইব্রেশন ও হ্যাপটিক ফিডব্যাক বন্ধ করে দিন।
- ব্যাটারি সেভার মোড ব্যবহার করা: অধিকাংশ অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই ব্যাটারি সেভার মোড থাকে। ব্যাটারি কমে গেলে এটি অটোমেটিক চালু হয়ে যায়। এতে ফোনের পারফরম্যান্স কিছুটা কমে যায় ঠিকই, কিন্তু ব্যাটারি অনেকক্ষণ স্থায়ী হয়। চাইলে আপনি নিজে থেকেই যেকোনো সময় ব্যাটারি সেভার মোড চালু করতে পারেন।
- লাইভ ওয়ালপেপার ব্যবহার না করা: লাইভ ওয়ালপেপার দেখতে সুন্দর হলেও এটি অনেক ব্যাটারি খরচ করে। সাধারণ ছবি বা ডার্ক ওয়ালপেপার ব্যবহার করুন।
- অটোমেটিক সিঙ্ক বন্ধ রাখা: ইমেইল, কন্টাক্ট, ক্যালেন্ডার ইত্যাদির জন্য অটোমেটিক সিঙ্ক বন্ধ রাখলে ব্যাটারি লাইফ বাড়বে। প্রয়োজনে ম্যানুয়ালি সিঙ্ক করতে পারেন।
- অ্যাপ নোটিফিকেশন কমানো: অ্যাপের নোটিফিকেশনগুলো ব্যাটারি খরচ করে। তাই অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিন। শুধু যে অ্যাপগুলোর নোটিফিকেশন আপনার দরকার, সেগুলোই চালু রাখুন।
- ফোনের সফটওয়্যার আপডেট রাখা: ফোনের সফটওয়্যার আপডেট করলে অনেক সময় নতুন ফিচার যোগ হওয়ার পাশাপাশি ব্যাটারি পারফরমেন্সেও উন্নতি হয়। তাই নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট চেক করুন এবং আপডেট করুন।
এই দশটি কৌশল মেনে চললেই আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেক বাড়বে। এছাড়াও ফোন যখন ব্যবহার করবেন না, তখন স্ক্রিন বন্ধ রাখার চেষ্টা করুন। এতেও ব্যাটারি অনেকটাই বাঁচবে।