কিছুক্ষণ আগেই লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লাহ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বেশ কিছু মিসাইল হামলা চালিয়েছে। এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের উন্নত আয়রন ডোম মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করা।এই হামলা মূলত গ্যালিলি উপত্যকার আইডিএফ আর্টিলারি পজিশনগুলো লক্ষ্য করা হয়েছে, যদিও এতে এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
Iran planning to attack Israel in next 24 hours
— tissa_vassi.06 (@06Vassi) April 12, 2024
9 deadly Iranian missiles that can target 🇮🇱Israel and U.S. bases in the Middle East
🇫🇷France, 🇮🇳India, 🇷🇺Russia, 🇬🇧UK issue travel warnings over Israel-Iran tensions pic.twitter.com/jEbb0IToPm
হেজবুল্লাহ সরাসরি এই হামলার দায় স্বীকার করেছে । এমনিতেই সিরিয়ায় ইরানী দূতাবাসে ইসরায়েলের হামলার পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্য উত্তাল , ইরান সরাসরি এই হামলার প্রতিশোধ নেবে বলে ইতিমধ্যেই হুমকি দিয়েছে । এই পরিস্থিতে হেজবুল্লার এই হামলা সেই উত্তাপকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ।
আইডিএফ জানিয়েছে যে লেবানন থেকে প্রায় ৪০টি রকেট ছোঁড়া হয়েছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগই আয়রন ডোম দ্বারা ধ্বংস করা হয়, তবে কিছু রকেট তাদের লক্ষ্য ছাড়িয়ে খোলা জায়গায় বা লেবাননের ভেতরেই পতিত হয়েছে। এই মিসাইল বৃষ্টির আগে, ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা হেজবুল্লাহ র দুটি বিস্ফোরক-বোঝাই ড্রোন সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করে।
আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন,
“ইসরায়েল সবসময় সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শুধু প্রতিরক্ষার জন্য নয়, আক্রমণাত্মক অপারেশন চালানোর জন্যও প্রস্তুত, যাতে আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।”
এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কুয়েত এবং কাতার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানে আক্রমণের জন্য তাদের বিমানঘাঁটি ব্যবহারে অসম্মতি জানিয়েছে ।
এই যুদ্ধপরিস্থিতে ফ্রান্স ভারত এবং রাশিয়া ইতিমধ্যেই নাগরিকদের ভ্রমণের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ।