ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ের পর ভারতের পতাকাই তুলে নিলেন পাকিস্তানী ক্যারাটে প্লেয়ার শাহজাব রিন্ধ হারান। বিশ্বক্রীড়া ক্ষেত্রে এরূপ মৈত্রীর ছবি নজর কেড়েছে সকল মানুষের। কিন্তু দেশে ফিরে সমালোচনা শিকার হলেন খেলোয়াড়।
রবি সিংকে ক্যারাটে ম্যাচে হারানোর পর ভারতের পতাকা তুলে মৈত্রীর বাণী প্রচার করেন শাহজাব রিন্ধ হারান। সাংবাদিকদের এই বিষয় তিনি জানান,” ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো নয়। আমার লক্ষ্য দুই দেশের মধ্যে মৈত্রীর সেতুবন্ধন করা। সেই কারণে লড়াইয়ে জিতে প্রথমে নিজেদের দেশের পতাকা উড়িয়েছি তারপর ভারতের পতাকা ওড়ালাম।” দুবাইতে এই সংহতির পরিচয় দিয়ে সকলের প্রশংসা করেছেন পাক খেলোয়ার। কিন্তু দেশে ফিরে বহু মন্ত্রীর কাছে সমালোচনা শুনতে হয় তাকে। ভারতের পতাকা ওড়ানো কে অপ্রোয়জনীয় মনে করেছেন তারা।
কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় শাহজাব রিন্ধ। খেলোয়াড় জানান, “সবাই আমাকে সমর্থন করেছেন।” শাহজাব আরও বলেন, ‘লড়াই তো মাঠে হয়, রিংয়ে হয়, তারপর আমাদের মধ্যে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীতা নেই। আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রয়েছে। ক্যারাটেতে এই লড়াই দেশের জন্য ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতির জন্য। সবাই আমার পাশে থাকুন।” ছোট থেকেই নাকি সলমন খানের সিনেমা দেখে বড় হয়েহেন পাক খেলোয়াড়। সলমন খানের সামনে তার ক্রীড়া প্রদর্শোন তার কাছে এক অভাবনীয় মুহূর্ত বলে মনে করেন শাহজাব। তাই তিনি তার আদর্শ সলমন খান ও তার দেশ কে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করেন। তাই ক্রীড়া এ জিতে প্রথমে নিজের দেশের পতাকা তারপরেই ওড়ালেন ভারতের পতাকা।
সরকারি গোদি মিডিয়ার চ্যানেলগুলি যারা ঘৃণার ন্যারেটিভ তৈরি করে ভুয়ো খবর মানুষের মধ্যে ছড়ায়, হিন্সু মুসলিম এর মধ্যে বিভেদ লাগিয়ে জিঙ্গোইজম ছড়িয়ে সুপ্রিম লিডার কে তুষ্ট করার প্রতিনয়ত চেষ্টা করে তারা কখনোই এই খবর সামনে আনবে না। যদি কোনো ভারতীয় খেলোয়ার একই কাজ করত তাহলে সেই খেলোয়াড় কে দেশদ্রোহী থেকে শুরু করে কত কি না বলত তার ইয়ত্তা নেই। ঘৃণার প্রকোপে নুইয়ে পড়া মেরুদন্ডের খাজে খাজে এই খবরগুলোই প্রতিস্পর্ধার সঞ্চার ঘটায়।