সম্প্রতি চালু হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে (সিএএ) জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, এবং আমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে । জাতিসংঘের উচ্চ কমিশনারের অফিসের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, “আমরা ২০১৯ সালে বলেছিলাম, সিএএ মূলত বৈষম্যমূলক এবং তা ভারতের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দায়িত্ব লঙ্ঘন করে।”
যুক্তরাষ্ট্রও তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একজন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র আলাদা করে রয়টার্সকে বলেন, “এই আইনের ফলে সব সম্প্রদায়ের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং আইনের অধীনে সমান আচরণের মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতিগুলি বিঘ্নিত হয়েছে “
অন্যদিকে, আমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, সিএএ’ ভারতীয় সংবিধানের সমতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার মূল প্যারামিটার গুলির উপরে একটা আঘাত এবং ভারতের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও সমতার বিপক্ষে । আমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন একটি পক্ষপাতদুষ্ট আইন, যা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যকে বৈধতা দেয় এবং এটি পাস হওয়া উচিত ছিল না।”
২০১৯ সালে বিতর্কিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (সিএএ) পাসের চার বছর পর, নরেন্দ্র মোদী সরকার এই আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় নিয়মাবলী ঘোষণা করে কয়েকদিন আগেই । সিএএ হিন্দু, পার্সি, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব প্রদানের লক্ষ্য রেখেছে, যারা নাকি ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে ২০১৫ সালের আগে ভারতে এসেছে। মুসলিমদেরকে এই আইনের আওতা থেকে বাদ দেওয়া এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) সম্পর্কিত ভয়ের কারণে সারা দেশে হাজার হাজার নাগরিকের ব্যাপক প্রতিবাদ দেখা গেছে গত কয়েক বছর ধরে ।