বাজাজ ভারতের প্রথম সিএনজি চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে চলেছে । মোটরসাইকেলটি আগামী ১৮ই জুন বাজারে আসছে বলে জানা গেছে। ইতি মধ্যেই বাইকপ্রেমীদের কাছে এই বাইক যথেষ্ট আগ্রহ তৈরি করেছে বিশেষ করে এর ব্লুপ্রিন্ট ফাঁস হবার পর।
বৈপ্লবিক ডিজাইন
সিএনজি মোটরসাইকেলের বাজারে বাজাজ অটোর প্রবেশ শুধু পরিবেশ সচেতনতার জন্য নয়, সস্তার পরিবহন ব্যবস্থার ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথাও মাথায় রেখে তাদের এই পদক্ষেপ । ফাঁস হওয়া ব্লুপ্রিন্টে দেখা যাচ্ছে স্টাইল বা কার্যকারিতার সাথে আপোস না করে সিএনজির যন্ত্রপাতিগুলি দারুণ বুদ্ধিমত্তার সাথে এমন ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে যাতে ডিজাইন হবে নজরকাড়া সাথে নিরাপত্তাও হবে অটুট ।
নকশাটিতে প্রথাগত সেটআপ থেকে একটু সরে গিয়েছে । ব্লুপ্রিন্টে দেখানো হয়েছে বাইকের পিছনে দুটো সাসপেনশন থাকবে, যদিও মূল উৎপাদিত মডেলে একটি মাত্র মনো-শক অ্যাবজর্বার থাকবে। আধুনিক প্রযুক্তির সাথে ঐতিহ্যবাহী মোটরসাইকেলের নান্দনিকতাকে মিশ্রিত করতেই এমন পরিকল্পনা । এতে রয়েছে একটি ‘স্লোপার’ ইঞ্জিন, যা এন্ট্রি-লেভেল কমিউটার বাইকের একটি প্রধান উপাদান কারণ এটি স্পেস তৈরি করে দিতে পারে। সিএনজি সিলিন্ডার স্থাপনের জন্য এই স্পেসটি বুদ্ধিদীপ্তভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। সিলিন্ডারটিকে যথাযত ভাবে স্থাপন করা হয়েছে চালকের আসনের ঠিক নীচে, যা ওজন ভারসাম্য ঠিক রাখব্র এবং একইসাথে বাইকের লুকিং-এর সাথেও আপোষ করতে হবেনা ।
হাইব্রিড ফুয়েল প্রযুক্তি
সিএনজি কিট লাগানোর জন্য মোটরসাইকেলের বিন্যাসে কিছু উদ্ভাবনী পরিবর্তন আনার দরকার ছিল , বাজাজ সেটা করেছে । এখানে ব্যবহার করা হয়েছে হাইব্রিড ডুয়াল ফুয়েল প্রযুক্তি ।
সিএনজি সিলিন্ডারটি রাখার ফলে পেট্রোল ট্যাঙ্কটি আকারে ছোট হয়েছে ফলে বাইকটিকে সিএনজি এবং পেট্রোল উভয় জ্বালানি ব্যবহার করে চালানো যাবে । এর ফলে যেখানে যেটি সহজলভ্য বা কম খরচের, সেটি অনুযায়ী চালক জ্বালানি বেছে নিতে পারবে।
তাছাড়া, সিএনজি রাখার জন্য ব্যাটারির জায়গাটিও একটু পিছিয়ে পিলিয়ন সিটের নীচে নেওয়া হয়েছে। এই পুনর্বিন্যাসটির জন্য এয়ারবক্সের অবস্থান এখন আরও পিছনে, পিলিয়ন আসনের নীচে । যথার্থ কার্যকারিতা এবং ভারসাম্য রাখার জন্য বাজাজ যন্ত্রাংশ গুলির অবস্থান পুরোপুরি নতুনভাবে করা হয়েছে ।
রেঞ্জ
বাজাজের সিএনজি বাইকের প্রতি প্রত্যাশা অনেক বেশি, বিশেষত এর প্রত্যাশিত ৯০-১০০ কিলোমিটার/কেজি ফুয়েল এফিসিয়েন্সির কারণে। এই মুহূর্তে পেট্রলের যা দাম তাতে নতুন মোটরসাইকেল ক্রেতারা সহজেই এই বাইকটি বেছে নেবেন তা নিশ্চিত করে বলা যায় ।
দাম
যেহেতু ডুয়াল এঞ্জিন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে তাই স্বাভাবিক ভাবে দাম সাধারণ পেট্রোল বাইকের চেয়ে বেশি হবে, তবে আনুমানিক দাম ₹৮০,০০০ – ₹৯৫,০০০ এক্স শোরুম । কারণ বাজাজ জানে এই বাইকের বাজার দখল করতে গেলে দামটাও নাগালের মধ্য থাকা চাই ।
Bajaj CNG Bike Blueprint Leaked Ahead Of Launch – Details Revealed https://t.co/c7fVIauHKv pic.twitter.com/BzXSROscBW
— RushLane (@rushlane) May 6, 2024
আর মাত্র কয়েকটা দিন অপেক্ষা তারপরই ভারতের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াবে এই নতুন দ্বিচক্রযানটি ।