রামনবমীর দিনে যখন দেব , সায়নী ঘোষ সহ অনেকের মুখেই যখন “জয় শ্রী রাম “স্লোগান , অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বড় কাছারির মন্দিরে মগ্ন হলেন মহাদেবের উপাসনা এ । স্থানীয় লোকজন এর মতে এই মন্দির নাকি খুব জাগ্রত। যদিও এই মন্দিরের সাথে অভিষেকের সম্পর্ক আজকের নয়। ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী সাংসদ হবার পরেই এই মন্দিরে অতিরিক্ত একটি তোরণ নির্মাণ করে দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক। ভাইপো কে দেখতে মন্দিরের বাইরে ভিড় জমেছিল অঢেল। অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায় নিরাশ করলেন না কাউকে। অনুরাগী দের সঙ্গে আলাপ আলোচনা ও সেলফি তোলার আবদার মেটালেন তিনি।
স্থানীয় লোকজনের মতে এই মন্দিরে চাওয়া সব আশাই পূরণ করেন পরমেশ্বর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, “‘আজ বাবা বড় কাছারি মন্দিরে ভক্তিভরে পুজো দিলাম। মা মাটি মানুষের মঙ্গল কামনায় ব্রতী হলাম। পরমেশ্বরের আশীর্বাদে বছরের প্রত্যেকটি দিন সকলের হয়ে উঠুক আলোকোজ্জ্বল।’ সমগ্র ঘটনার ছবি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ফেসবুক থেকে প্রকাশ করা হয়েছে । ক্যাপশনে লেখা হয়েছে “ওম নমঃ শিবায়! সকলের মঙ্গল কামনায় বখরাহাটে বাবা বড় কাঁছারী মন্দিরে পুজো করলেন শ্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”
রামনবমীর দিনে ডায়মন্ডহারবারের প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর এই ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ যথেষ্ট রাজনৈতিক বলে ই মনে করেছেন অনেক মানুষ। বারংবার তৃণমূল কংগ্রেস সহ অনেকেই রামনবমীকে কেন্দ্র করে বিজেপির রাজনৈতিক ন্যারেটিভ কে বহিরাগত সংস্কৃতি বলে দাগিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তাই যখন তৃণমূল একাংশ নেতা রামনবমীর মিছিলে ব্যস্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার এই ছক ভাঙা পদক্ষেপ দিয়ে বাংলা সংস্কৃতি কে বোধহয় মনে করিয়ে দিতে চাইলেন তার অনুরাগীদের মধ্যে ।