শুক্রবার এনআইএ রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একজন কর্মীকে বেঙ্গালুরু থেকে আটক করে । ওই ব্যক্তির নাম সাঁই প্রসাদ । কর্ণাটকের শিবমোগা জেলার থির্থহাল্লি থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
গত ১লা মার্চ বেঙ্গালুরুর বিখ্যাত রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছিল।
সাই প্রসাদের থির্থহাল্লি এবং চিক্কামাগালুরুতে সন্দেহভাজনদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ। NIA এর আগে থির্থহল্লিতে দুই যুবক এবং এক মোবাইল দোকানের মালিকের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল।
তদন্তে জানা গেছে যে সাই প্রসাদ এই ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন, আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণের পিছনে কথিত মাস্টারমাইন্ড মুজাম্মিল শরীফ, মূলত কালাসা থেকে এক অবজারভারের সহায়তায় তার মাকে চিক্কামাগালুরুতে স্থানান্তরিত করেছিল । এটাও জানা গিয়েছে যে চিককামগালুরুতে একজন পুলিশ কর্মী একটি ভাড়া বাড়ি দেখে দিতে মূল ষড়যন্ত্রকারীর মাকে সহায়তা করেছিল।
পিটিআই জানিয়েছে, এই মামলায় মূল ষড়যন্ত্রকারী শরীফকে তিনটি রাজ্যের একাধিক স্থানে ব্যাপক অভিযানের পরে এনআইএ গ্রেপ্তার করে । এনআইএ দলগুলি কর্ণাটকের 12টি, তামিলনাড়ুতে পাঁচটি এবং উত্তর প্রদেশের একটি সহ 18টি স্থানে ক্র্যাক ডাউন করার কারণে তাকে সহ-ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে তোলা হয়েছিল।
রামেশ্বরম বিস্ফোরণ মামলার অন্য অভিযুক্তরা
3 মার্চ মামলাটি এনআইএ গ্রহণ করে , যে বিস্ফোরণটি করেছিল সেই প্রধান অভিযুক্ত মুসাভির শাজিব হুসেনকে এবং অন্য ষড়যন্ত্রকারী আব্দুল মতিন চিহ্নিত করেছিল। আব্দুল মতিন অন্যান্য মামলায়ও এজেন্সির কাছে ওয়ান্টেড। দুজনেই পলাতক।
তদন্তে জানা গেছে যে মুজাম্মিল শরীফ ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর ব্রুকফিল্ডের আইটিপিএল রোডে অবস্থিত ক্যাফেতে আইইডি বিস্ফোরণের সাথে জড়িত এই মামলার অন্য দুই চিহ্নিত অভিযুক্তকে লজিস্টিক সহায়তা দিয়েছিলেন।
এনআইএ গত মাসে রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ মামলায় জড়িত দুই ওয়ান্টেড অভিযুক্ত আব্দুল মতিন আহমেদ তাহা এবং মুসাভির হুসেন শাজিবের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
এন আই এ তাদের অফিসিয়াল ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে দুই পলাতক অভিযুক্তের ছবি প্রচার করার জন্য দিয়ে জানিয়েছিল যে “যে ব্যক্তি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে সাহায্য করে এমন কোনও তথ্য সরবরাহ করবে তাকে পুরস্কৃত করা হবে”। তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও স্পষ্ট করা হয়েছে।
Request for Information, Identity of the Informer will be kept Secret. pic.twitter.com/JkMUWay23m
— NIA India (@NIA_India) March 29, 2024