উত্তরপ্রদেশের নগিনা (এসসি) লোকসভা আসন থেকে ভীম আর্মির নেতা চন্দ্রশেখর আজাদ এবং সমাজবাদী পার্টির মনোজ কুমার শুক্রবার তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র রাজেন্দ্র চৌধুরী জানিয়েছেন, এই নির্বাচনে তাদের দল এবং ভীম আর্মির মধ্যে কোনো নির্বাচনী জোট হয়নি। এছাড়াও মোরাদাবাদ এবং রামপুর আসন থেকে আরও দুই প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এই প্রথম দফায় মোট চারটি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।
উত্তরপ্রদেশের সাত দফার নির্বাচনের প্রথম দফায় আটটি লোকসভা আসনে ভোট হবে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনের জন্য মার্চ ২০ তারিখে নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে এবং মনোনয়নের শেষ তারিখ হল মার্চ ২৭। মনোনয়নের যাচাই-বাছাই হবে মার্চ ২৮ এবং প্রার্থী প্রত্যাহারের শেষ তারিখ হল ৩০শে মার্চ । ভোট গণনা হবে ৪ঠা জুন ।
বিজেপি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে ৬২টি আসন জিতেছিল এবং তার জোট সঙ্গী অপনা দল(এস) দুটি আসন জিতেছিল। বিএসপি সেই জোটে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল, তারা ১০টি আসন জিতেছিল।
অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি পাঁচটি আসন জিতেছিল এবং আরএলডি কোনো আসন জিততে পারেনি।
এই প্রথম দফায় যে আটটি লোকসভা আসনে ভোট হবে, তার মধ্যে বিজেপি মুজাফ্ফরনগর (সঞ্জীব কুমার বালিয়ান), কাইরানা (প্রদীপ কুমার চৌধুরী) এবং পিলিভিত (বরুণ গান্ধী) আসন জিতেছিল। সমাজবাদী পার্টির এস টি হাসান মোরাদাবাদ লোকসভা আসন জিতেছিলেন, এবং আজম খান রামপুর লোকসভা আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। বিএসপির হাজি ফজলুর রেহমান, মালুক নগর এবং গিরিশ চন্দ্র যথাক্রমে সাহারানপুর, বিজনৌর এবং নগিনা (এসসি) লোকসভা আসনে জয়লাভ করেছিলেন।
এই নির্বাচনে, বিএসপি একা লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে, অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টি কংগ্রেসের সাথে জোট বেঁধেছে এবং উভয় দলই বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের অংশ। রাষ্ট্রীয় জনতা দল বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএর সাথে হাত মিলিয়েছে।
চন্দ্রশেখর আজাদের মতো দলিত নেতারা তাদের সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য দীর্ঘদিন লড়াই করে চলেছেন। নির্বাচনী ময়দানে এই ধরনের প্রার্থীদের উপস্থিতি গণতন্ত্রের বৈচিত্র্যময়তা এবং সমস্ত সমাজের অংশগ্রহণের প্রতীক হিসাবে তুলে ধরে ।
এই নির্বাচনের ফলাফল কেবল উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতই নির্ধারণ করবে না, বরং ভারতের জাতীয় রাজনীতির দিকনির্দেশনাকেও প্রভাবিত করবে। সমস্ত প্রার্থী এবং দলগুলি তাদের নীতি এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে, এবং ভোটাররা তাদের ভবিষ্যতের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।