প্রতিটি শিশুর হাসিতে থাকে একরাশ আলো , যেন এক টুকরো স্বর্গ। কিন্তু কখনো যদি সেই আলো হঠাৎ করেই নিভে যায় , পৃথিবীতে তার চেয়ে দুঃসহ অন্ধকার আর কিছুই নেই । ঘুমের মাঝে অকাল মৃত্যুর কারণটা প্রায়ই থাকে অজানা, অবোঝা। চিকিৎসকদের বেশ চিন্তায় ফেলেছে এই বিষয়টি ।
শিশু বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ধরনের মৃত্যু অনেকটাই প্রতিরোধযোগ্য। নিরাপদ ঘুমের কিছু সাধারণ নিয়ম জানা থাকলে এবং সচেতন হলেই তা সম্ভব। একমাত্র বাবা -মা ই তৈরি করে দিতে পারেন শিশুর নিরাপদ আশ্রয়। আর সেই আশ্রয় থেকেই আপনার শিশুটি বড় হবে, হাসবে, জগতটাকে চিনবে।
কিভাবে রাখবেন শিশুকে সুরক্ষিত?
আপনার ছোট্ট শিশুকে ঘুমের মধ্যে শোয়ানোটা অনেক ক্ষেত্রেই বাবা-মায়ের জন্যই একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ হয়ে ওঠে।
কিছু সহজ নিয়ম অনুসরণ করলে আপনি আপনার শিশুকে নিরাপদে এবং সহজে ঘুম পাড়িয়ে দিতে পারবেন:
ঘুমের রুটিন তৈরি করুন:
প্রতিদিন একই সময়ে শিশুকে ঘুমাতে নিয়ে যান এবং একই সময়ে তাকে ঘুম থেকে তুলুন।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে শিশুকে গরম জলে স্নান করিয়ে দিন।
তাঁর সাথে গল্প বলুন, গান শোনান অথবা হালকাভাবে ম্যাসাজ করে দিন। ঘুমের ঘর অন্ধকার, শান্ত এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রাখুন , অথবা যথেষ্ট পরিমাণ হাওয়া বাতাস চলাচল করে এমন ঘরে রাখুন ।
শিশুর পাশে অন্য কেউ নয়
শিশু যখন ঘুমোচ্ছে, পাশে অন্য কাউকে রাখবেন না। একই ঘরে রাখুন, কিন্তু এক বিছানায় নয়।
চিৎ হয়ে শোয়ানো অভ্যাস করুন
দিন-রাত নির্বিশেষে, শিশুকে সবসময় চিৎ করে শোয়াবেন।মাথা একদিকে ঘুরিয়ে রাখুন যাতে শিশু উল্টে না যায়।
শক্ত বিছানা ব্যবহার করুন
একটি শক্ত খাটিয়া বেছে নিন, আর সেটাতে শক্ত ম্যাট্রেস ব্যবহার করুন বা বিছানা ব্যবহার করতে পারেন ।
বিরক্ত হবেন না
শিশুকে ঘুমের মধ্যে শোয়ানোর জন্য কিছুটা সময় লাগতে পারে।
ধৈর্য ধরুন এবং নিজের শিশুর উপর বিশ্বাস রাখুন।
কিছু অতিরিক্ত টিপস:
- শিশুকে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভারী খাবার দেবেন না।
- ঘুমাতে যাওয়ার আগে শিশুকে অতিরিক্ত উত্তেজিত করবেন না।
- শিশু যদি ঘুম থেকে জেগে ওঠে তবে তাকে আবার ঘুম পাড়ানোর জন্য তাকে আপনার কোলে নিয়ে ঘুরে বেরাবেন না।
- মনে রাখবেন, প্রতিটি শিশু ভিন্ন এবং তাদের ঘুমের প্রয়োজন ও অভ্যাস ও ভিন্ন হতে পারে।
- আপনার শিশুর জন্য কোন নিয়ম গুলো সবচেয়ে ভালো কাজ করে তা খুঁজে বের করার দ্বায়িত্বও আপনার ।