রামনবমী উপলক্ষে এবছরই প্রথম ছুটি ঘোষণা করলেন রাজ্যসরকার। সামনেই লোকসভা ভোট। তাই বহু নেতাই এই রামনবমী কে নিজের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করেছেন। তাই বাকি থাকলেন না ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা দেব । তিনি ঘাটালে রামনবমীর উৎসবে গিয়ে স্লোগান দিলেন ” জয় শ্রী রাম – জয় জয় সীতা-রাম” । গলা মেলালেন উপস্থিত মানুষজন। তারপরে মিছিলেও অংশগ্রহণ করলেন তৃণমূল প্রার্থী। পায়ে হেটে, মিছিলে অংশগ্রহণকারী মানুষজনের সাথে সাথে কুশপাতা রামমন্দির থেকে ঘাটাল কলেজ মোর পর্যন্ত যান তৃণমূল প্রার্থী।
দেবের এই স্লোগান নিয়ে ভালোমতই শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেন , ” এরা বাধ্য হয়ে এসব করছে। ভক্তিতে নয় ভয় করছে। ভালো হয়েছে জাগরণ হয়েছে। ” কিন্তু দেবের মুখে রামনবমীর অনুষ্ঠান থেকে শোনা যায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন ” ধর্ম সবাই কে আগলে রাখে , একজন জনপ্রতিনিধির কোনো ধর্ম থাকতে পারে না। ” দেব আরও বলেন যে তিনি ইফতার এর অনুষ্ঠানেও যোগদান করেছেন তাই রামনবমী তে যোগদান করতেও তার কোনো আপত্তি নেই। অপরদিকে ঘাটালের বিজপেই প্রার্থী হিরণ ও যোগ দিলেন রামনবমী মিছিলে। হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে এই দিনে বিজেপি প্রার্থী জনসংযোগ সারেন শুধু দেব নয় হাওড়ায় রামনবমীর উৎসবে সদর তৃণমূল প্রার্থী প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাথে সায়নী ঘোষের মুখেও শোনা গেল ” জয় শ্রী রাম স্লোগান”।
দিনদিন রামনবমীর অনুষ্ঠান সীতা-রামের বন্দনার পরিবর্তে হয়ে পড়ছে এক রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদর্শনের ক্ষেত্র। দিলীপ ঘোষ ও অন্যান্য বিজেপি প্রার্থী অস্ত্র মিছিল করেন আজকের দিনে। বহু সাধারণ মানুষের মিছিলে ” তেল লাগাও ডাবর কা / নাম মিটাও বাবর কা” র মত সাম্প্রদায়িক স্লোগান। রামের নাম ধরে বঙ্গ-রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ করার বিজেপির কৌশল কে তৃণমূল ও উপলব্ধি করে। তাই তারাও হাতছাড়া করতে চায় না এই সুযোগ। গতবছর রামনবমীতে হুগলির রিষড়া সহ একাধিক জায়গায় দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যদিও এবারে সেই অংশগুলিতে বহুল পরিমাণে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।