আজ নির্বাচন কমিশন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সম্পর্কে তাঁর আক্রমণাত্মক ও অপমানজনক মন্তব্যের জন্য শো-কজ নোটিস জারি করেছে। নির্বাচন কমিশন মনে করেছে যে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যগুলি ১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে নির্বাচন কমিশন দ্বারা জারি করা নির্বাচনী আচরণবিধি (এমসিসি) এবং পরামর্শের প্রাথমিক লঙ্ঘন করে।
গত ২৬ মার্চ দুর্গাপুরে মর্নিং ওয়াকের সময় দিলীপ ঘোষ বলেন, “যখন দিদি গোয়া যান, তখন নিজেকে গোয়ার কন্যা বলে দাবি করেন। ত্রিপুরায় গেলে বলেন, তিনি ত্রিপুরার কন্যা। তাঁর আগে নিজের বাবার পরিচয় ঠিক করা উচিত।”
অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মমতা ব্যানার্জি প্রতি আপত্তিজনক এবং অসম্মানজনক মন্তব্যের জন্য একটি শো-কজ নোটিস জারি করেছে। এই মন্তব্যটি সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার এবং প্রচারিত হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশন এই মন্তব্যকে ১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে নির্বাচন কমিশন দ্বারা জারি করা নির্বাচনী আচরণবিধি অনুসারে আপত্তিজনক, অপমানজনক এবং মডেল কোড অফ কন্ডাক্টের বিরোধী হিসাবে চিহ্নিত করেছে। কমিশন তাঁর থেকে ২৯ মার্চ, ২০২৪ তারিখের বিকেল ৫টার মধ্যে উত্তর চেয়েছে।
মডেল কোড অফ কন্ডাক্টের ‘নির্বাচনী আচরণ’ এর পার্ট I-এর ২ নং ধারা অনুযায়ী, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সমালোচনা করা হলে তা তাদের নীতি, আদর্শ অতীতের রেকর্ড এবং কাজের উপর সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। দল এবং প্রার্থীদের উচিত অন্য দলের নেতা বা কর্মীদের ব্যক্তিগত জীবনের সমালোচনা থেকে বিরত থাকা যা তাদের জনসেবার কাজের সাথে সংযুক্ত নয়। অন্যান্য দল বা তাদের কর্মীদের উপর অপ্রমাণিত অভিযোগ বা বিকৃতির ভিত্তিতে সমালোচনা এড়ানো উচিত।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, দিলীপ ঘোষের মন্তব্য কেবল রাজনৈতিক বিতর্ককেই উসকে দেয়নি, বরং এটি নির্বাচনী আচরণবিধির মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নও তুলে ধরেছে। নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক নেতাদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করেছে যে, তাদের মন্তব্য ও কাজের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সীমা থাকা উচিত এবং রাজনৈতিক বিবাদের নামে ব্যক্তিগত আক্রমণ বা অপমানের কোন স্থান নেই।