গত শনিবার রাতে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে নামাজ পড়ার সময় কিছু অজ্ঞাত হামলাকারী বিদেশী ছাত্রদের উপর আক্রমণ করে। এই ঘটনায় চার বিদেশী ছাত্র আহত হয়। ঘটনার বিভিন্ন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে কিছু লোকজন গেরুয়া রঙের স্কার্ফ পরে পাথর ছুঁড়ছে, স্লোগান দিচ্ছে এবং বাইক ভাঙছে দেখা গেছে। এক ভিডিওতে দেখা যায়, হামলাকারীরা হোস্টেলের প্রবেশদ্বারে বিদেশী ছাত্রদের নামাজ পড়ার কারণ জিজ্ঞাসা করছে। এই ঘটনার পর আহমেদাবাদ পুলিশের কমিশনার জানান, এক অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং বাকিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের জন্য নয়টি সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে।
🚨 Hindutva Mob Attacks International Muslim Students At Gujarat University For Offering #Ramadan Taraweeh Prayers
— DOAM (@doamuslims) March 17, 2024
International Muslim students at the #Gujarat University in #Ahmedabad were attacked by a #Hindutva mob for offering Taraweeh prayers at their hostel on Saturday… pic.twitter.com/Qpu8xkRkW4
আহত চার ছাত্রকে এসভিপি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়, সেখানে তারা চিকিৎসাধীন । এই ঘটনায় কংগ্রেসের এমএলএ ইমরান খেদাওয়ালা হাসপাতালে ছাত্রদের সাথে দেখা করেন এবং ঘটনাকে গুজরাট এবং দেশের জন্য লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হর্ষ সংঘভি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এক জরুরি বৈঠক ডাকেন।
গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে ঘটে যাওয়া এই হামলার ঘটনা শুধুমাত্র স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমেই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছে । এই ঘটনা যারা শিক্ষার উদ্দেশ্যে ভারতে এসেছেন তেমন বিভিন্ন দেশের ছাত্রদের মধ্যে উদ্বেগ এবং আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে । পুলিশ কমিশনার জি এস মালিক ঘটনাটির সম্পর্কে বলেন, “একদল বাইরের লোক হোস্টেলে প্রবেশ করে বিদেশী ছাত্রদের কাছে নামাজ কেন খোলা জায়গায় পড়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করে। এতে বিতর্ক শুরু হয়, যা শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষে পরিণত হয়।”
In #Gujarat's #Ahmedabad, A Student of #GujaratUniversity from inside their hostel can be heard saying, "Police let them go, Police let them go! They are running away! They broke everything, They are going away. The police aren't arresting them. This is a democratic country, this… pic.twitter.com/sM4udThJ5i
— Hate Detector 🔍 (@HateDetectors) March 17, 2024
পুলিশের তরফ থেকে এই ঘটনায় গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং একটি এফআইআর ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে। আক্রমণকারীরা ছাত্রদের ঘরে ঢুকে তাদের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে বলে জানানো হয়েছে।
আহত হওয়া চাত্ররা মূলত আফগানিস্তান এবং আফ্রিকান দেশগুলি থেকে এসেছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারা হাসপাতালে গিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনা গুজরাট এবং ভারতের জন্য লজ্জার বিষয় বলে মনে করা হচ্ছে।
এই হামলার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে যে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনা ভারতে শিক্ষার জন্য আসা বিদেশী ছাত্রদের মধ্যে নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে ধরেছে।