ইতিহাসের অন্ধকার অলিগলির সাথে মিশে যাবে শহুরে জীবনের সুর, সেই শহরে ‘হীরামন্ডি’ । যেখানে নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে ফুটে ওঠে ভালোবাসা, ক্ষমতার লড়াই, হার-জিতের গল্প।
১৯৪০-র দশকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে ‘হীরামন্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার’। মহাকব্যিক ঢঙে গল্প বলিয়ে সঞ্জয় লীলা বনশালীর হাত ধরেই এই অনন্য ওয়েব সিরিজ আসছে নেটফ্লিক্সে। এই ‘হীরামন্ডি’ কেবল বনশালীর প্রথম ডিজিটাল কাজ নয়, ওটিটির মোহময় জগতে তার প্রবেশের উলুধ্বনি ।
মুম্বাইয়ের মহালক্ষ্মী রেসকোর্স হাজারো ড্রোনের আলোয় স্বপ্নের মতো রূপ নিয়েছিল ‘হীরামন্ডি’-র প্রথম প্রচারের রাতে। তারকার মেলায় উপস্থিত ছিলেন মানিষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, ঋচা চড্ডাসহ সিরিজের প্রধান অভিনেতারা। ড্রোন শো-তে হাজির থাকা দর্শকরাও একটা ঝলক দেখতে পেয়ে যান বনশালীর নতুন কাজের ।
‘হীরামন্ডি’ তুলে ধরবে নটীদের জীবন কথাকে । তাদের হার-জিত, প্রেম-বিরহের গল্প একাকার করে দেবে ১৯৪০-এর দশকের সামাজিক ও রাজনৈতিক টালমাটাল সময়। সোনাক্ষী সিনহা জানিয়েছেন, এই সিরিজে কাজ করার অভিজ্ঞতা এতটাই দুর্দান্ত যে ঘোর থেকে বেরোতে ইচ্ছা করে না । তারকাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে, বনশালীর অসাধারণ কল্পনা আর সৃজনশীলতায় ‘হীরামন্ডি’তে প্রতিটি দৃশ্য, সংলাপ, এমনকি অভিনয়ও হয়ে উঠেছে কতটা প্রাণবন্ত ।
আজই মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজের ‘তিলাসমি বহেন’ গানটি । গানটিতে সোনাক্ষীকে আমরা একটি নতুন অবতারে দেখতে পাই। ভারতীয় মুজরার ঐতিহ্যকে বনশালীর নিজস্ব ধাঁচে ফুটিয়ে তুলেছে এই গান। দৃষ্টিনন্দন এবং সুরের অপূর্ব মেলবন্ধনে সোনাক্ষীকে দেখা যায় আরও রূপময়ী, দৃঢ় এবং আকর্ষণীয় । গানটি যেমন ঠিক সেরকমই এই সিরিজ । ক্ষমতা, সৌন্দর্য আর সুর-নৃত্যের মাধ্যমে গল্প বলার এক অনন্য মহোৎসব।
‘হীরামন্ডি’-তে একঝাঁক প্রতিভাবান শিল্পীরা কাজ করেছেন একসাথে – মানিষা কৈরালা, ঋচা চড্ডা, সোনাক্ষী সিনহা হতে শুরু করে আদিতি রাও হাইদারি, আরও অনেকে। প্রত্যেক শিল্পীই নিজেদের স্বকীয়তা মিশিয়ে দিয়েছেন ।
বনশালীর কাছে ‘হীরামন্ডি’ শুধু একটি প্রজেক্ট নয়, বরং একটি আবেগ – যেখানে প্রতিটি চরিত্র, প্রাসাদসম সেট থেকে শুরু করে সবই তাঁর নিখুঁত হাতের ছোঁয়ায় তৈরি। সিরিজটি একার্থে তাই এপিক ।
বনশালীর ভক্তদের জন্য তো বটেই, ফিল্ম ক্রিটিকদের কাছেও এই সিরিজ হবে দেখার মত । ১লা মে নেটফ্লিক্সে আসছে বনশালীর এই এপিক ।