ভারতের বিরোধী দলের অন্যতম মুখ এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি নিয়ে আমেরিকা এবং জার্মানি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে । কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির পর জার্মানির মন্তব্যের জবাবে ভারত প্রতিবাদ জানায় এবং বলে এটি ভারতের বিচারবিভাগের স্বাধীনতায় পরোক্ষ হস্তক্ষেপ ।
আমেরিকার রাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন যে, তারা কেজরিওয়ালের বিচার প্রক্রিয়াটি যেন স্বচ্ছ, ন্যায়সঙ্গত এবং নিরপেক্ষ হয় এমনটিই প্রত্যাশা করে। এই ঘটনায় ভারত জার্মানির কূটনৈতিক প্রতিনিধিকে ডেকে তাদের মন্তব্যের জন্য প্রতিবাদ জানায়।
জার্মান সরকারের মুখপাত্র বলেছেন যে, কেজরিওয়াল সহ যেকোনো ব্যক্তির ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে এবং তারা প্রত্যাশা করে যে এই মামলায় বিচারবিভাগের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের মূলনীতি মেনে চলা হবে। ভারত ও জার্মানির মধ্যে সুসম্পর্ক থাকলেও, এই ধরনের মন্তব্য দুই দেশের মধ্যে কিছুটা হলেও উত্তেজনা তৈরি করেছে ।
চীনের আধিপত্য নিয়ন্ত্রণে আমেরিকা ভারতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখে তাই বিশেষ করে এই ঘটনায় ভারতের প্রতিক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক মন্তব্য দু’দেশের বিদেশনীতি এবং রাজনৈতিক সম্পর্কের উপরে বিশেষ প্রভাব ফেলে
অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তার দল আম আদমি পার্টির (AAP) অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে ভারতের আর্থিক অপরাধ দমন সংস্থা (ED) তাকে গ্রেপ্তার করে। যদিও এই অভিযোগ তার দল নাকচ করেছে এবং তারা এই গ্রেপ্তারিকে এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসাবে দেখছে । নির্বাচনের এক মাস আগে এই ঘটনা ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ।
ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছে ।
কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারী নিয়ে আজ আবার নতুন করে দিল্লী উতপ্ত হয়ে ওঠে । আপ সমর্থকরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে আরম্ভ করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের গ্রেপ্তার করে ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে ।