ভারতের মত যানজট ও কোলাহলপূর্ণ রাস্তায় কোন বাইক আদর্শ তা বেছে নেওয়া যথেষ্ট কষ্টকর । বিশেষত বাইক বা স্কুটি যাই নেওয়া হোক না কেন সেটি হতে হবে টেকসই এবং দামের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী ।
পেট্রলের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি মধ্যবিত্তের পকেটে টান ধরিয়েছে । তাই স্বাভাবিক ভাবেই অনেকেই এখন ঝুঁকছেন ইলেক্ট্রিক বাইক বা স্কুটারের দিকে । এখন প্রশ্ন হল ইলেক্ট্রিক গাড়ি কি পেট্রলের গাড়ির মত মজবুত ও টেঁকসই হতে পারে ? উত্তর হল হ্যাঁ , যেটা কয়েক বছর আগেও সম্ভব ছিল না আজ তা সম্ভব । আজ জোর গলাতেই বলা যেতে পারে হল ইলেক্ট্রিক গাড়ি পেট্রলের গাড়িকে সব দিক থেকেই টেক্কা দেবার ক্ষমতা রাখে । তাইতো বড় বড় গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি গুলো সবাই আজ ঝুকছে ইলেক্ট্রিকে , কারণ ইলেক্ট্রিক গাড়িই হল গাড়ি শিল্পের ভবিষ্যৎ ।
ইলেক্ট্রিক বাইক বা স্কুটি কেন নেবেন ?
পেট্রোল বা ডিজেলে চলা গাড়ির তুলনায় ইলেক্ট্রিক বাইক এবং স্কুটারের সুবিধা অনেক বেশি । এগুলি সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব এবং শহরের ট্র্যাফিকের মধ্যে দিয়ে চলাচলের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। তাছাড়া, ইলেক্ট্রিক যানবাহন ব্যবহার ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ভারত সরকারের ফেম 2 প্রকল্পের মাধ্যমে ভর্তুকি দিচ্ছে , যা ইলেক্ট্রিক গাড়িগুলির দাম কমিয়ে মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে এসেছে ।
কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন
ইলেক্ট্রিক বাইক বা স্কুটার কেনার সময় বেশ কিছু বিষয়ের উপর নজর দেওয়া জরুরি।
১. ব্যাটারি লাইফ এবং রেঞ্জ
ব্যাটারি হল ইলেক্ট্রিক বাইক বা স্কুটারের প্রাণ। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি আছে, এমন গাড়ি খুঁজুন যাতে ওজন এবং পাল্লার মধ্যে ভারসাম্য থাকে। সাধারণত, একটি ভালো ইলেক্ট্রিক স্কুটার একবার চার্জ করলে 60-120 কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে, যা দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য যথেষ্ট। বাজেট কম থাকলে লিড এসিড ব্যাটারি নিতে বাধ্য ।
২. চার্জিংয়ের সময়
গাড়িটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে কতক্ষণ সময় লাগে তা দেখে নিন। ভারতের বেশিরভাগ ইলেক্ট্রিক বাইক ও স্কুটার পুরো চার্জ হতে 4 থেকে 8 ঘন্টা সময় নেয়।
৩. ক্ষমতা এবং কর্মক্ষমতা
ক্ষমতা মানেই গাড়ির কর্মক্ষমতা। শহুরে যাতায়াতের জন্য 250-500 ওয়াটের ইলেক্ট্রিক স্কুটার আদর্শ।
৪. পরিষেবা এবং ওয়ারেন্টি
ভারতে ইলেক্ট্রিক যানবাহনের মার্কেট এখনও তুলনামূলকভাবে নতুন। তাই আপনার পছন্দের ব্র্যান্ড যাতে বিক্রির পরে আফটার সার্ভিস এবং ওয়ারেন্টি দেয়, সেটা খেয়াল রাখুন।
৫. দাম ও সরকারি ভর্তুকি
দাম তো একটা বড় বিষয়। ভারত সরকার ফেম 2 প্রকল্পের মাধ্যমে ভর্তুকি দিচ্ছে, তাই এমন মডেল বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ যাতে আপনার খরচ কমে।
টেস্ট রাইড এবং রিভিউ কেনার আগে গাড়িটি চালিয়ে দেখুন। অনলাইনে রিভিউ পড়ুন এবং টেস্ট রাইডের ভিডিও দেখুন।
ভবিষ্যত ইলেক্ট্রিক গাড়ি দূষণ কমাতে এবং পরিবেশ সংরক্ষণের দিকে একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ। একটি ইলেক্ট্রিক বাইক বা স্কুটার বেছে নিয়ে, আপনি শুধুমাত্র একটি আর্থিক বিনিয়োগ করছেন না,এই সবুজ গ্রহেও একটি অবদান রাখছেন।