ইসরাইলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা হঠাতই পদত্যাগ করলেন । গত কয়েকমাস ধরে গোয়েন্দা ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতার জন্য তাঁকে বার বার কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে , অবশেষে তিনি পদত্যাগ করলেন ।
গত ৭ই অক্টোবর হামাসের চালানো আক্রমণে ইসরাইলের ইতিহাসের এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, যেখানে ১,২০০ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং প্রায় ২৫০ জনকে গাজায় জিম্মি করা হয়। এই ঘটনা এক রক্তাক্ষয়ি সংঘাতের সূচনা করে, যা এই দীর্ঘ সাত মাস ধরে চলছে।
গত ৭ই একটি কনসার্টে হামাস ইজরায়েলের সীমান্ত প্রতিরক্ষা ভেদ হঠাৎ আক্রমণে আক্রমণ করে এবং ঘন্টার পর ঘন্টা অবাধে তাণ্ডব চালায়। ইজরায়েলি গোয়েন্দা বিভাগ এই আক্রমণ সম্পর্কে আগাম কোনো সতর্কবার্তা দিতে পারেনি ফলে এই ঘটনা ইসরাইলি জনগণের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি আস্থাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে।
হালিভার পদত্যাগ এমন একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের পদত্যাগের ঘটনা এই প্রথম ।
ইজরায়েল সামরিক বাহিনী কর্তৃক প্রকাশিত পদত্যাগ পত্রে হালিভাকে গভীর অনুশোচনা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে এবং তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে, বলেন যে সেই দিনের স্মৃতি তাকে অবিরাম পীড়া দিচ্ছে । তার দায়িত্ব ছিল সামরিক গোয়েন্দা বিভাগকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা এবং জরুরি সতর্কবার্তা সরবরাহ করা, যে ভূমিকায় তিনি সেই গুরুত্বপূর্ণ দিনে গুরুতরভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বলে স্বীকার করেন।
৭ই অক্টোবরের ঘটনার পর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইজরায়েল । স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ৩৪,০০০ ফিলিস্তিনির মৃত্যুর খবর দিয়েছেন, যাদের বড় অংশ নারী এবং শিশু। এই সংঘাতে গাজার বেশিরভাগ জনগণ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং অঞ্চলটি এক মানবিক বিপর্যয়ের প্রান্তে পৌঁছেছে, যেখানে এই মুহূর্তে দুর্ভিক্ষ চলছে ।
অন্যদিকে ইজরায়েলের পশ্চিম তীর এবং ইসরাইলের ভেতরেও উত্তেজনা বাড়ছে, যা আরও বড় আঞ্চলিক অস্থিরতার ইঙ্গিত দেয়।
এমনই প্রেক্ষিতে হালিভার পদত্যাগ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ।