এই চড়া গরমে শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে পেঁয়াজ খাওয়া একেবারে আবশ্যিক যাকে বলে । বিশেষ করে গরমের জন্য যে সব অসুবিধা গুলি হয় তা কমাতে পেঁয়াজ বেশ কার্যকরী। কিন্তু পেঁয়াজ খাওয়ার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো মুখে তীব্র অপ্রীতিকর গন্ধ থেকে যায় যা অনেকের জন্য বেশ বিরক্তিকর। ভাগ্যক্রমে, পেঁয়াজখেয়েও এই গন্ধের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার বেশ কিছু উপায় আছে।
শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং হজম করতে পেঁয়াজ খুব সাহায্য করে, তাই গরমের সময় খাদ্যতালিকায়পেঁয়াজ রাখা জরুরি। কিন্তু অনেকেই তীব্র গন্ধের কারণে পেঁয়াজ খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখেন । কীভাবেএই সমস্যা কমানো যায় তা জানলে অনেকেই নির্দ্বিধায় এর উপকারিতালাভ করতে পারবেন।
যে পদ্ধতি গুলি অবলম্বন করলে পেঁয়াজ থেকে দুর্গন্ধ পালাবে
- সব থেকে সহজ কিন্তু কার্যকরী উপায় হলো পেঁয়াজ খাওয়ার আগে তা হালকা করে রোস্ট বা আগুনে ঝলসে নেওয়া। এই প্রক্রিয়াটি পেঁয়াজের তীব্র গন্ধ অনেকটাই কমিয়ে দেয়, কিন্তু স্বাস্থ্যগত লাভগুলি ঠিকই থাকে। রোস্ট করার ফলে পেঁয়াজের যত ক্ষতিকর উপাদান আছে তা কমে হয়ে যায় আবার গন্ধ কম হয় এবং খাওয়ার পরেও মুখে গন্ধ থাকেনা ।
- আরেকটি কৌশল হলো পেঁয়াজ কুচি করার পর জলে কিছুক্ষন ভিজিয়ে রাখা ।এর ফলে পেঁয়াজের সালফারযুক্ত উপাদানগুলি (যেটা কাটার পর পর পেঁয়াজ থেকে বেরিয়ে আসে) কিছুটা কিছুটা ধুয়ে যায়।
- আর একটি উপায় হল পেঁয়াজ কেটে কিছুক্ষণ ভিনিগারে বা লেবুর রসে চুবিয়ে রাখা । এর ফলেও পেঁয়াজের থেকে দুর্গন্ধ যুক্ত উপাদান গুলি চলে যায় এবং পেঁয়াজও তরতাজা থাকে খেতেও সমস্যা হয় না
পেঁয়াজ খাওয়ার পর পার্সলে, পুদিনা বা অ্যাপেল খেলে স্বাভাবিকভাবেই মুখের গন্ধ দূর হয়ে যায়। এই খাবার গুলি প্রাকৃতি কডিওডোরাইজার হিসেবে কাজ করে এবং পেঁয়াজের গন্ধ দ্রুত দূরকরতে পারে। চুইংগাম বা পুদিনার গন্ধযুক্ত ক্যান্ডি চিবালেও এই গন্ধকে ঢেকে রাখা যায়, বিশেষ করে যখন প্রাকৃতিক উপায়গুলি একেবারে কাঁচা পেঁয়াজ খেতেই হচ্ছে তখন এই পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করা যায় ।
যারা কাঁচা পেঁয়াজ সালাদে অথবা আলাদা করে খেতে চান কিন্তু পরবর্তী মুখের গন্ধ নিয়ে চিন্তিত, তারা ভিনিগারে অথবা লেবুর রসে কিছুক্ষণ পেঁয়াজগুলিকে ম্যারিনেট করে নিতে পারেন। এর ফলে না শুধু পেঁয়াজের টেক্সচার নরম হবে এবং তীব্রতা কমবে,মুখে দুর্গন্ধের জন্য দায়ী উপাদানগুলিও কিছুটা কমে যাবে।