একসময় সারা ভারতে টলিউড বলিউড কাপাতেন মিঠুন চক্রবর্তী। বয়স হয়েছে বলে কিন্তু অভিনয় এর দক্ষতা তার কমেনি। তা বারংবার প্রমাণ করেছেন মহাগুরু। শুধু অভিনয় নয় বঙ্গ রাজনীতিতেও তার বিশেষ ভূমিকা। একসময় মমতাকে নিজের বোন বলে মানতেন তিনি। কিন্তু ২০২১ সালে সবাইকে চমকে দিয়ে বিজেপি তে যোগ দেন তিনি। এখন বিজেপির হয়ে প্রচার ও চালাচ্ছেন মিঠুন। এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রায়গঞ্জ এর তৃণমূল জনসভা থেকে গদ্দার বলে সম্বোধন করলেন মহাগুরু কে ।
তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন তিনি মিঠুন চক্রবর্তীকেই রাজ্যসভার এমপি করেছিলেন। তার সাথে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করে চলে গেছেন RSS এর অফিসে। নিজের ছেলেকে আইনের হাত থেকে বাচাতেই নাকি মিঠুনের এই পদক্ষেপ। রায়গঞ্জ এর সভা থেকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে মমতা বলেন, “
“মিঠুন চক্রবর্তীকে আমি রাজ্যসভার এমপি করেছিলাম। কিন্তু জানতাম না উনি বাংলার আর এক জন বড় গদ্দার। আরএসএস অফিসে গিয়ে মাথা নীচু করে দিয়ে এসেছিলেন, শুধু নিজের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য। ভয়ে মুম্বইয়ের আরএসএস অফিসে চলে গিয়েছিলেন, বলেছিলেন আমি একজন সেবক। “
– মমতা
এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন , ” যাঁদের আদর্শ নেই, তাঁদের আমি মানুষ বলে মনে করি না।” এই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির মুখপাত্বর শমীক ভট্যাচার্য বলেন , “মিঠুনের অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা নিয়ে কেউ কখনও প্রশ্ন তুলতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরে উনি সর্বোচ্চ ট্যাক্সপেয়ার ছিলেন। উনি জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা, সারা ভারতের মানুষের হৃদয়ে ওঁর জন্য জায়গা আছে।”
মিঠুন কে যখন ই কোনো সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তার দল বদলের বিষয় নিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছে তিনি দৃঢ় ভাবে বলেছেন আদর্শগত মতপার্থক্যের জন্যেই তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তৃণমূলের ব্যপক দূর্নীতি নিয়েও মুখ খুলতে দ্বিধা বোধ করেননি অভিনেতা। বরং মহাগুরুকে বিজেপি তে যোগদানের পরে নানান সময় বিভিন্ন ফাপড়েও পড়তে হয়। গত বছর মুক্তিপ্রাপ্র দেব ও মিঠুন অভিনীত ছবি “প্রজাপতি” নন্দনে কোনো শো পায়নি। তৃণমূল এই ঘটনার সাথে মিঠুনের বিজেপিতে যোগদান এর সম্পর্ক অনুসন্ধানে তোয়াক্কা না করলেও অনেকেই মনে করেন মিঠুন কে শায়েস্তা করতেই তৃণমূলের এই পদক্ষেপ ছিল।