রাজ্যে জুড়ে পড়ছে প্রচন্ড গরম । তাপমাত্রা ৪০ পেরিয়েছে, দাবদাহ বইছে। বিশেষত দুপুরের সময়টাতে বাইরে বের হওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় দিনের বেলায় প্রখর রৌদ্রের ছাদের নিচে বসে স্কুল করাটা যথেষ্ট কষ্টের ব্যাপার, বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে। এমনই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকজন অভিভাবক দাবি তুললেন মর্নিং স্কুলের। উত্তর ২৪ পরগনা বাদুড়িয়াতে আমাদের প্রতিনিধির সঙ্গে এমনই বেশ কয়েকজন অভিভাবকের কথা হয়। তারা জানান, এই মুহূর্তে অবিলম্বে রাজ্য সরকারের উচিত হয় স্কুলগুলোকে ছুটি দিয়ে দেওয়া নতুবা মর্নিং স্কুলের ব্যবস্থা করা। এই পরিস্থিতিতে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠানো নিয়ে আমরা চিন্তিত।
ইতিমধ্যেই এই জেলার বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুল মর্নিং সেশন চালু করেছে। কিন্তু সরকারি স্কুলগুলোতে তেমন কোন নির্দেশিকা না থাকায় তারা মর্নিং চালু করতে পারছে না বলে সূত্রের খবর।
বিগত বছর গুলিতে অতিরিক্ত গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সরকার ছুটি ঘোষণা করে দিতে বাধ্য হয় । সিডিউল বহির্ভূত সেই অতিরিক্ত ছুটির ফলে পঠন-পাঠনে যথেষ্ট প্রভাব পড়ে সেই খামতি মেটাতে শিক্ষার্থীদের উপরে বাকি সময়ে পড়াশোনার ভার অনেকটাই বেড়ে যায়। এ বছরেও যেভাবে গরম পড়ছে তাতে সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে আর বেশি দিন এইভাবে স্কুল চালানো সম্ভব নয় কাজেই সরকারের এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেয় তা এখন দেখার। এ বছর একই সঙ্গে আবার নির্বাচন উপস্থিত কাজেই নির্বাচনের কারণে পঠন-পাঠন কিছুটা ব্যাহত হবে।
এমনিতেই কোভিদ – লকডাউনের সময় থেকে দীর্ঘদিন স্কুলে পঠন-পাঠন প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী দের শিখন সামর্থ একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে । বিশেষত মফস্বল ও গ্রামের বিদ্যালয় গুলিতে এই চিত্র আরও ভয়াবহ । এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ের পঠন প্রক্রিয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিলে এই ক্ষতি আরও বাড়বে । আবার এদিকে প্রচন্ড গরমে শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও প্রবল । এ সব দিক বিবেচনা করে সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকেই তাকিয়ে অভিভাবকরা ।