কলকাতার ব্যস্ততা ছেড়ে যদি প্রকৃতির নিরিবিলিতে মন খোঁজে, তাহলে পুরুলিয়া আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। পাহাড়, জঙ্গল, ঐতিহাসিক স্থানের এক অপূর্ব মিশেলে গড়া এই জেলা বেড়াতে আসা মানুষকে এক অন্যরকম অনুভূতি দেয়। আর যারা বাজেট নিয়ে ভাবছেন, চিন্তা নেই! পুরুলিয়া ঘুরে আসতে মোটেও বেশি খরচের দরকার নেই। সস্তায় থাকা-খাওয়া সবই মিলবে, আবার সেই সঙ্গে আপনি ঠিকঠাক ভাবে সব কিছু দেখতেও পাবেন।
শুধু বেড়ানোই নয় যারা একটু ভিন্ন স্বাদের খাবার পছন্দ করে তাদের জন্য তো স্বর্গ আমাদের পরিচিত খাবারের পাশাপাশি স্থানীয় উপজাতিদের রান্নার একটা দারুণ মেলবন্ধন পাওয়া যায় পুরুলিয়ার খাবারে। আর দামও একদম সাধ্যের মধ্যে! এখানকার পোস্ত-পান্তা আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
কী কী দেখবেন –
- অযোধ্যা পাহাড়: প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য আদর্শ জায়গা। উপর থেকে দারুণ সব দৃশ্য দেখা যায়। একটু ট্রেকিং করারও সুযোগ আছে। ভালো করে ঘুরে দেখতে গাইড লাগলেও, তাতে খরচ খুবই কম।
- ছড়িদা গ্রাম: ছৌনাচের মুখোশের জন্য বিখ্যাত। কীভাবে মুখোশ বানানো হয় সব চোখের সামনে দেখতে পাবেন।
- গড়পঞ্চকোট: পাঞ্চেত ড্যামের কাছেই অবস্থিত। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি দেখার আছে ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষও।
- দেউলঘাটা মন্দির: শান্তির খোঁজে ঐতিহাসিক এই মন্দিরগুলো ঘুরে আসতে পারেন।
- খাইরাবেড়া ড্যাম ও বাঁধনি জলপ্রপাত: পিকনিক করার জন্য খুব সুন্দর জায়গা। প্রকৃতির মাঝে হাঁটাহাঁটি করে মনটা ভালো হয়ে যাবে।
আনুমানিক খরচ
এবার একটু হিসেব করে নেওয়া যাক। কলকাতা থেকে পুরুলিয়া স্লিপার ক্লাসে ট্রেন ভাড়া আসা-যাওয়া মিলিয়ে জনপ্রতি ৫০০-৭০০ টাকা । থাকার জন্য গেস্ট হাউস বা হোমস্টে পাবেন ৬০০-১২০০ টাকা রাতে। খাওয়া-দাওয়ার খরচ দৈনিক ২০০-৩০০ টাকা ধরতে পারেন। বেশিরভাগ জায়গা ঘুরে দেখতে কোনও খরচ নেই, কিছু জায়গায় গাইড লাগতে পারে বা এন্ট্রি ফি থাকতে পারে – সব মিলিয়ে আরও ৫০০-১০০০ টাকা রাখলেই চলবে।
তাহলে ৩ দিনের পুরুলিয়া ট্রিপের জন্য মাথাপিছু খরচ আসবে ৩৪০০ থেকে ৫২০০ টাকার মধ্যে। অ্যাডভেঞ্চার, প্রকৃতির রূপ, আর খাওয়াদাওয়ার মজা – পুরুলিয়া আপনাকে হতাশ করবে না!