রামনবমী উপলক্ষে এবারেই প্রথম ছুটি ঘোষণা করেছেন রাজ্য সরকার । রাজ্যের বহু অংশেই বিজেপি নেতার পাশাপাশি তৃণমূল নেতা-নেত্রী দের পর্যন্ত রামনবমীর মিছিলে হাটতে দেখা যায়। কিন্তু এ দৃশ্য একেবারেই বিরল। একেবারে পাশাপাশি হাঁটতে দেখা গেল দার্জিলিঙের বিদায়ী সাংসদ তথা এ বারের ভোটেও বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা এবং দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী (সমতল) পাপিয়া ঘোষকে।
প্রতিবারের মত এবারেও শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়ি হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা ও কর্মীবৃন্দ। এবারে ভিড় করলেন তৃণমূল এর সদস্যরাও। তাই শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়ী মন্দির রামনবমীর দিনে হয়ে উঠেছিল বিজেপি ও তৃণমূল এর এক বিরল ঐক্যস্থল। পুজো দেওয়ার পরে যখন শোভাযাত্রা আরম্ভ হল তখন ই পাশাপাশি পা মিলিয়ে হাটতে দেখা গেল বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা এবং দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভানেত্রী (সমতল) পাপিয়া ঘোষ কে। মিছিলেই নাকি একে অপরের দেখা। একজন অপরজনকে শুভেচ্ছা ও অভিবাদন জানাতেও ছাড়েননি।
পাপিয়া এ প্রসঙ্গে জানান যে তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর দেখানো পথ অনুসারেই ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ই রামনবমী অন্য উৎসবের মতই পালন করছে। তিনি আরো বলেন ” রাম কারও একার নয়। শ্রীরাম তাদের যেন সুবুদ্ধি দেন, যাঁরা তাঁকে নিয়ে ভোটের ব্যবসা করেন। ” অপরদিকে বিজেপি নেতাও সন্দেহহীন ভাবে ঘোষণা করেন যে ভারতবর্ষ একদিন রামরাজ্য হবে। তারা নাকি রাম কে নিয়ে রাজনীতি ও করতে চান না কারণ তিনি মনে করেন রামরাজ্যের কল্পনা নিয়েই সারা ভারত এগোচ্ছে। তিনি বলেন, ” দেরি করেই হোক না কেন, রাম ছাড়া যে পশ্চিমবঙ্গও চলে না, তা মুখ্যমন্ত্রী বুঝেছেন।”
সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদির কথাতেও উঠে এসেছিল একই সুর। তিনি বক্তৃতা মঞ্চ থেকে বলেন যে রামমন্দির নাকি কখনো কোনোদিন ভোটের বিষয় ছিলই না। অথচ এই লোকসভা ভোটের আগে ২০১৪, ২০১৯ প্রতিটা বিজেপির ইলেকশন ম্যানিফেস্টো তেই রামমন্দিরের কথা লেখাছিল । রামমন্দির বা রাম কে দলীয় রাজনীতির আসন থেকে নামিয়ে এনে ভারতবর্ষের বৈচিত্রময় সংস্কৃতির গেরুয়াকরণ করতেই কি এই ব্যপক ন্যারেটিভ চালানো শুরু করেছে বিজেপি? তার উত্তর ভবিষ্যৎ ই হয়তো দেবে।